সংসার, দুই সন্তান ও স্বামী ও সঙ্গে তাঁর পেশা। তিন জিনিসকেই দারুণভাবে ব্যালেন্স করে চলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সম্প্রতি অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ঋতুপর্ণার নতুন ছবি 'বেলা' মুক্তি পেয়েছে। দর্শকদের কাছ থেকে নায়িকা পেয়েছেন একের পর এক প্রশংসা। বেলা দারুণভাবে সাড়া ফেলেছে দর্শকদের মধ্যে। রান্নার জন্য বিখ্যাত ছিলেন বেলা দে। আর সেই চরিত্রে অভিনয় করা ঋতুপর্ণাও কিন্তু বেশ পটু রান্নাবান্নাতে। সময় পেলেই কিন্তু নায়িকা অতিথিদের জন্য এলাহি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করে থাকেন। কিন্তু বিয়ের পর এই রান্না নিয়েই মহা কাণ্ড বাঁধিয়ে বসেছিলেন সকলের প্রিয় ঋতুদি।
ঋতুপর্ণা বেলা দে -এর ছবির এক প্রচারে গিয়ে বিয়ের প্রথম প্রথম রান্নার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন সকলের সঙ্গে। বিয়ের পর স্বামী সঞ্জয়ের সঙ্গে ঋতুপর্ণা প্রথমে আমেরিকাতেই থাকতেন। পরে সিঙ্গাপুরে চলে আসেন। আমেরিকাতে থাকতেই ঋতুপর্ণা একদিন সঞ্জয়কে কিমা রান্না করে খাওয়াবেন বলে ঠিক করেন। রান্না করতে গিয়ে সব ধরনের মশলা দেওয়ার পর নায়িকা দেখেন চারদিকে ধোঁয়ায় ভরে গেছে। এমনকী বিল্ডিং-এ ফায়ার অ্যালার্ম বাজতে শুরু করেছে। সিকিউরিটি গার্ড চলে আসে। ঋতুপর্ণা বলেন যে তিনি কেলেঙ্কারি কাণ্ড বাঁধিয়ে বসেছিলেন। নায়িকা আসলে সেই সময় রান্নায় অতটা পারদর্শি ছিলেন না। এটা ছিল ঋতুপর্ণার প্রথম রান্নার অভিজ্ঞতা।
তবে এখন ঋতুপর্ণা রান্নাবান্না করেন। লকডাউনের সময় থেকে নায়িকা রান্নায় অভিজ্ঞ হয়ে গিয়েছেন। এখন একসঙ্গে ৩৫ জনের রান্না করতে পারেন নায়িকা। ঋতুপর্ণার দুই ছেলে-মেয়ে তাঁর হাতের চিকেন ও চিংড়ি মাছের পদ খেতে ভালোবাসেন। এছাড়াও ঋতুপর্ণার হাতের আলুমাখাও কিন্তু দারুণ। ঋতুপর্ণার মায়ের হাতের রান্না খুবই মিস করেন এখন। নায়িকার জন্মদিনে তাঁর মা মাংস দিয়ে ঘুগনি বানিয়ে দিতেন, সেটা ছিল ঋতুপর্ণার মায়ের সিক্রেট রেসিপি। ঋতুপ্ণার হাতের রান্না ইন্ডাস্ট্রির অনেক মানুষই খেয়েছেন।
নায়িকা রান্না করতে ও খাওয়াতে ভীষণভাবে ভালোবাসেন। আর সেই কারণে মাঝে মাঝেই তাঁর বাড়িতে বসে এলাহি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। বেলা দে-র প্রিমিয়ারের দিনই ঋতুপর্ণা বাড়িতে মাছ-মংস, বিরিয়ানি, কচুরি, লাউ চিংড়ি এইসবের আয়োজন করেছিলেন। সিঙ্গাপুরে থাকলেও তিনি রান্না করেন অধিকাংশ সময়েই।