প্রয়াত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন অভিনেত্রীর মা। কিছুদিন আগেই ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। জানা গিয়েছে, শেষের ১৫ দিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
মায়ের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা। স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী ও অভিনেত্রীর দুই সন্তান সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতায় আসছেন। তবে এই মুহূর্তে ঋতুপর্ণার পাশে রয়েছেন তাঁর ভাই। ঋতুপর্ণার মেয়ে কলকাতায় আসলেও ছেলে অঙ্কন শিক্ষার সূত্রে বস্টনে। তিনি আসতে পারেননি। বদলে ভিডিও কলে দিদাকে শেষ দেখা দেখেছেন। প্রসঙ্গত, বেশ অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ঋতুপর্ণার মা। কিডনি সহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল নন্দিতা সেনগুপ্তের শরীরে।
কিছুদিন আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নায়িকার মা। সেই সময় এক সংবাদমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, অনেক দিন ধরেই মা কিডনির সমস্যায় ভুগছে। ডায়ালিসিস চলছে। একাধিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্লেটলেট রক্তচাপ কমে গিয়েছে। শরীরে আরও নানা সমস্যা। মাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। সেই সময়েও শাশুড়ির গুরুতর অসুস্থতার খবর পেয়ে কলকাতায় উড়ে এসেছিলেন জামাই সঞ্জয়। সর্বক্ষণ ছিলেন অভিনেত্রীর ভাই। মুম্বই থেকে উড়ে এসেছিলেন মাসতুতো বোন। ঋতুপর্ণা তাঁর মায়ের খুবই কাছের ছিলেন। একাধিক অনুষ্ঠানেও দেখা অভিনেত্রার সঙ্গে তাঁর মাকে দেখা গিয়েছিল। মা মারা যাওয়ার ফলে অভিনেত্রীর জীবনে বিরাট শূণ্যতার সৃষ্টি হল। মানসিক দিক থেকে তিনি বরাবর মায়ের উপর নির্ভরশীল। তাই মায়ের মৃত্যুতে কথা বলার ক্ষমতাটুকুও হারিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, কালীঘাট শ্মশানে নন্দিতা সেনগুপ্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তবে পরিবারের সবাই আসার পরই তা হবে।