বিনোদিনী হয়ে ওঠার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে অভিনেত্রী রূক্মিণী মৈত্রকে। এই ছবির ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অভিনেত্রী জোর কদমে চালিয়েছেন তাঁর বিনোদিনী হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা। অবশেষে তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়েছে বলা চলে। গত ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে রামকমল মুখোপাধ্যায়ের বিনোদিনী। দর্শকদের কাছে তিনি সেই বিনোদিনী দাসী হয়ে উঠতে পেরেছেন। গত দেড়-দুমাস ধরে টানা এই ছবির প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেত্রী। ছবি মুক্তির পরও প্রচার থামাননি। কিন্তু এবার আর সঙ্গ দিল না অভিনেত্রীর শরীর। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পর্দার বিনোদিনী।
রুক্মিণী তাঁর ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে জানিয়েছেন যে তাঁর ১০২ জ্বর। তবে তাঁর মনের জোর অদম্য। এদিন রুক্মিণী লেখেন, রুক্মিণীর ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু বিনোদিনীর সঙ্গে দেখা করে আসুন আপনার কাছের সিনেমা হলে। প্রসঙ্গত, এই বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান ছবির জন্য বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে রুক্মিণীকে। প্রযোজকের অভাবে কিছুতেই ছবির শ্যুটিং শুরু হতে পারছিল না। অবশেষে এগিয়ে আসে দেবের প্রযোজনা সংস্থা।
রুক্মিণীর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় মোড় ঘোরানো ছবি এই বিনোদিনী। তাই প্রচারে গিয়েও বারংবার আবেগঘন হতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। বাধ মানেনি চোখের জলও। প্রসঙ্গত বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান ছবিটির শ্যুটিং শুরুর আগেও বিপত্তি হয়েছিল। পা ভেঙেছিলেন অভিনেত্রী। ছিলেন গৃহ বন্দি। কিন্তু তাও তিনি দমে যাননি। ভাঙা পা নিয়েই নাচের তালিম নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ছবির শ্যুটিং চলাকালীন অনেকেই জ্বরে ভুগতে শুরু করেন। সেই সময় শ্যুটিং বন্ধ রাখা হয়।
বিনোদিনী মুক্তি পাওয়ার আগেই স্টার থিয়েটারের নাম বদলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টার থিয়েটার এখন বিনোদিনী থিয়েটার। এই ছবিতে নাম ভূমিকায় আছেন রুক্মিণী মৈত্র। গুরমুখ রাইয়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে মীর আফসার আলিকে। কুমারের চরিত্রে আছেন ওম সাহানি। গিরিশ চন্দ্র ঘোষ হিসেবে ধরা দিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। এবং রাঙা বাবু হিসেবে আছেন রাহুল বসু। রামকৃষ্ণদেব হিসেবে আছেন চন্দন রায় সান্যাল। বক্স অফিসেও বিনোদিনী দারুণভাবে সফল হয়েছে। দর্শকরা বেশ পছন্দ করছেন বিনোদিনী রূপে রুক্মিণীকে।