
'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' ছবির ট্রেলার ঘিরে কলকাতায় ধুন্ধুমার কাণ্ডের কথা কারোরই অজানা নয়। এই শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেলার লঞ্চ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত হতে পারেনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবির ট্রেলার লঞ্চের পর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। ছবির ট্রেলার প্রশংসিত যেমন হয়েছে তেমনি তা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। ‘গ্রেটার ক্যালকাটা কিলিং’-এর প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবি রাজ্য-রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে টলিপাড়ার অনেকেই পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর সমালোচনায় ময়দানে নেমে পড়েছেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবেক অগ্নিহোত্রীকে একহাত নিয়ে ট্রোলের মুখে অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী সিংহ মিত্র।
সঙ্ঘশ্রী তাঁর ফেসবুক পেজে দ্য বেঙ্গল ফাইলস ছবির পরিচালককে নিয়ে লেখেন, 'বিবেক অগ্নিহোত্রী খুবই বিরক্তিকর মানুষ। কথা বলা বন্ধ করুন।' এই পোস্ট করার পরই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্য ধেয়ে আসতে থাকে। কেউ লিখেছেন, টলিউডের চটি চাটা বন্ধ করলে বিবেক অগ্নিহোত্রীকে প্রণাম করতে ইচ্ছে করত, এই ইতিহাস পশ্চিমবঙ্গের সকলের জানা উচিত। কেউ আবার লেখেন, পরবর্তী সিরিয়ালের জন্য এগ্রিমেন্ট পেলেন। আবার কেউ লেখেন, বুঝেছি টলিউডে কাজ পেতে গেলে শাসক দলের চটি চাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবার কেই সঙ্ঘশ্রীকে বাংলাদেশী বলেও সম্বোধন করেন।
এক সংবাদমাধ্যমকে সঙ্ঘশ্রী জানিয়েছেন, তিনি একজন সাধারণ নাগরিক, তাই তাঁর সব বিষয়েই মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে। অভিনেত্রী এও দাবি করেছেন যে তাঁকে নাকি ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। যদিও এতে তিনি একেবারেই ভয় পাচ্ছেন না। তবে এরই সঙ্গে অভিনেত্রী এও জানান যে সৌরভ-শাশ্বতরা এই ছবি সম্পর্কে কিছু জানতেন না, এটা মানতে পারছেন না। বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি তিনি দেখতে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন। সঙ্ঘশ্রী তাঁর পোস্টে করা মেতিবাচক মন্তব্যের যতটা পেরেছেন জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এই ছবিতে অভিনয় করার জন্য তোপের মুখে পড়েছেন সৌরভ দাস ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। গোপাল পাঁঠার চরিত্রকে বিকৃত করার জন্য FIR দায়ের হয়েছে ইতিমধ্যে। সঙ্ঘশ্রীর আগে দ্য বেঙ্গল ফাইলস নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অভিনেতা ঋদ্ধি সেনও। ঋদ্ধি বরাবরই স্পষ্টবাদী। সামাজিক বা রাজনৈতিক ইস্যুতে বরাবর তাঁকে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতে দেখা গিয়েছে। এবার সিনেমাকে হাতিয়ার করে হিন্দিভাষী পরিচালকের বাংলা ও বাঙালিকে অপমান এবং ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগেও চুপ থাকলেন না জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা। অভিনেতা তাঁর ফেসবুকে লেখেন, 'আজকে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ ইতিহাসবিদদের জন্য একটি দুঃখের দিন।'