প্রেমের মেয়াদ বেশিদিনের নয়। কিন্তু সোহিনী বিয়েটা সেরে নিয়েছেন চটজলদি। গত বছর জুলাই মাসে ব্যক্তিগত পরিসরে গায়ক শোভনের গলায় মালা দেন অভিনেত্রী। বিয়ের আগে কয়েক মাস চুটিয়ে প্রেম করেছেন সোহিনী-শোভন। আর তারপরই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁরা। বিয়ের কিছুদিন পর পাহাড়ে হানিমুনে গিয়েছিলেন এই জুটি। তাঁদের অসম প্রেম বিয়ের পর আরও কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। শোভনের সঙ্গে কোথায় ভাল রোম্যান্স জমে? এক পডকাস্টে এসে মনখুলে সেই কথা জানিয়েছেন সোহিনী।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে আসেন অমর সঙ্গী নায়িকা সোহিনী। তাঁর পছন্দের জায়গা কোথায় সেটা জিজ্ঞেস করাতে সোহিনী জানান যে তাঁর এখন পাহাড় ও সমুদ্র দুটোই ভাল লাগে। এরপর তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় রোম্যান্সটা কোথায় ভাল হয়? সেই উত্তরে অভিনেত্রা অকপটে বলে দেন, ঠান্ডাতেই রোম্যান্সটা ভাল হয়। বেশি চ্যাটচ্যাটে গরমে রোমান্সটা হয় না। এরপরই হেসে গড়িয়ে পড়েন সোহিনী। আর এর অর্থ হল পাহাড়ে শোভনের সঙ্গে তাঁর ভালোবাসা জমে ক্ষীর হয়।
রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে ব্রেকআপ হওয়ার পর ও স্বস্তিকা-শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পরে শোভন ও সোহিনীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথমদিকে সেই সম্পর্কের কথা দুজনের কেউই স্বীকার করতে চাননি। তবে সেই বছরেই সোহিনীর জন্মদিনের দিনই শোভনকে দেখা যায় তাঁর সঙ্গে। টলিপাড়ায় তাঁদের প্রেমালাপ নিয়ে চর্চা বিস্তর হলেও নিজেরা এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। তবে এইসব খবর কোনও সময়ই গোপন থাকে না। সোহিনী-শোভনের প্রেমের খবরও চাপা থাকে নি।
সোহিনী ও শোভনের মধ্যে বয়সের ফারাক থাকলেও তা সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। সোহিনী অনেক সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছেন যে তিনি কোনও কিছু না ভেবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। গত বছর জুলাই মাসে শহর থেকে একটু দূরে এক রাজবাড়িতে সোহিনী-শোভন বিয়ের পর্ব সারেন। আইনি বিয়ে করেন তাঁরা। সোহিনীর সিঁথিতে সিঁদুর পরান শোভন। বিয়ের দিন উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির হাতে গোনা কিছু মানুষ ও দুই পরিবারের সদস্যরা। বউভাতও সারেন ঘরোয়াভাবে।
বিয়ের পর চুটিয়ে সংসার করছেন শোভন ও সোহিনী। কখনও তাঁদের লুচি বেলতে ভাজতে দেখা যায় আবার কখনও বা পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটান তাঁরা। বিয়ের পর প্রথম সরস্বতী পুজো একসঙ্গেই কাটিয়েছেন। শোভনের লিলুয়ার বাড়িতে সোহিনী দায়িত্ব নিয়ে পুজোর যাবতীয় কাজ করেন। এরপর একসঙ্গে ছবি তুলতে ভোলেন না সোহিনী-শোভন।