জীবনে অনেক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবনে এমন অনেক অধ্যায় তাঁর রয়েছে, যেখানে অভিনেত্রীর মনে হয়েছে এবার নিজের জীবনকে শেষ করে দেওয়াই উচিত। একাধিক ব্রেকআপ, ভাঙা বিয়ে, একাকীত্ব এই সমস্ত নিয়েই স্বস্তিকার জীবন। নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সফল হননি। যেটা হয়েছে তা হল অভিনেত্রীর বাঁ হাত রীতিমতো ক্ষত-বিক্ষত। সেই হাতের ছবিও তিনি কয়েক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু সময় বদলেছে, স্বস্তিকা পাল্টে নিয়েছেন নিজেকে। এখন আর এই ক্ষত বিক্ষত দাগ সহ হাত দেখতে একেবারে রাজি নন। আর তাই বাঁ হাতে করালেন এমন একটি কাজ, যাতে ক্ষতের দাগও ঢেকে যায় আর হাতটাও সুন্দর লাগে।
ক্ষতের দাগ রয়েছে যে হাতে, সেখানে ট্যাটু করিয়ে নিলেন স্বস্তিকা। সেই ছবি ও ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন। বাঁ হাতে ক্ষতের সেই দাগের ওপর একটি ফড়িং-এর ট্যাটু করিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, আমার ফড়িং খুব ভাল লাগে। আমি তাদের খুব ভালোবাসি। কয়েক বছর আগে তাড়াহুড়োতে করিয়েছিলাম। সেটা খারাপ লাগতে শুরু করে। আমার বাঁ হাতের কবজিতে পোড়া দাগ রয়েছে, সেটাকে ঢাকতে চাইছিলাম। আমি বন্ধুদের বলেছিলাম যে আমার বাঁ হাতকে উৎসর্গ করেছি ক্ষতচিহ্নদের কাছে। এত দাগ রয়েছে হাতে, কিন্তু আমি অনুভব করি যে আমিও চাই আমার ক্ষত বিক্ষত হাত আনন্দে থাকুক।
এরপরই স্বস্তিকাকে তাঁর প্রিয় বান্ধবী এক ট্যাটু আর্টিস্টদের খোঁজ দেন। সেখানে গিয়ে স্বস্তিকা তাঁর আগের ফড়িং ট্যাটুটিকে আরও সুন্দর করে তোলেন। অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর হাতে ফড়িং ওড়ার জন্য একেবারে প্রস্তুত। নিজেকে সব সময়ই সুন্দর ও খুশি রাখতে চান স্বস্তিকা। আর সেটার জন্য যা যা করা দরকার তিনি সেটাই করে থাকেন। জীবনকে নিজের শর্ত অনুযায়ী চালনা করতেই ভালোবাসেন অভিনেত্রী।
নিজের বক্তব্য, সিদ্ধান্ত বা নিজের অভিনয়, সবকিছুতেই সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন স্বস্তিকা। সিঙ্গল মাদার হিসেবে মেয়ের বাবা ও মা দুই ভূমিকাই পালন করেছেন তিনি দাপটে। রিগ্রেট করেননি কোনও কিছুর জন্য। কয়েক বছর আগেই স্বস্তিকা তাঁর হাতের দাগগুলো দেখিয়ে জানিয়েছিলেন যে ওই কাটা দাগগুলো ওঁদের বীরত্বের প্রতীক, ওঁদের অস্তিত্বের প্রতীক। টলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে স্বস্তিকা এখন মুম্বইতে কাজ করছেন। মাঝে মাঝেই মুম্বইতে গিয়ে তাঁকে থাকতে হয়।