Swastika Mukherjee: 'তোমার গায়ের গন্ধ...' জন্মদিনে সন্তুকে মন কেমন করা চিঠি লিখলেন স্বস্তিকা

Swastika Mukherjee: মা মারা গিয়েছেন অনেক আগেই আর তারপর বাবা। জীবনের অনেকটা পথই একা চলতে হয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের খুবই কাছের ছিলেন স্বস্তিকা। একাধিক সাক্ষাৎকারে বাবার প্রতি তাঁর টানের কথা বলেছেন অভিনেত্রী। সন্তু মুখোপাধ্যায় মারা যাওয়ার পর অভিনেত্রীর জীবনের সমীকরণ অনেকটাই বদলে যায়।

Advertisement
'তোমার গায়ের গন্ধ...' জন্মদিনে সন্তুকে মন কেমন করা চিঠি লিখলেন স্বস্তিকা বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে স্বস্তিকার আবেগঘন পোস্ট
হাইলাইটস
  • জীবনের অনেকটা পথই একা চলতে হয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে।

মা মারা গিয়েছেন অনেক আগেই আর তারপর বাবা। জীবনের অনেকটা পথই একা চলতে হয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের খুবই কাছের ছিলেন স্বস্তিকা। একাধিক সাক্ষাৎকারে বাবার প্রতি তাঁর টানের কথা বলেছেন অভিনেত্রী। সন্তু মুখোপাধ্যায় মারা যাওয়ার পর অভিনেত্রীর জীবনের সমীকরণ অনেকটাই বদলে যায়। অভিভাবকহীন স্বস্তিকার জীবন ঘিরে এখন শুধুই তাঁর মেয়ে অন্বেষা। ১৩ জানুয়ারি ছিল প্রয়াত অভিনেতা তথা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। আর এইদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী পোস্ট করলেন মন খারাপ করা চিঠি। 

স্বস্তিকার এই দীর্ঘ চিঠিতে শুধুই সন্তু মুখোপাধ্যায়ের প্রিয় জিনিসের কথাগুলি উল্লেখ করেছেন। বাবা বেঁচে থাকতে অভিনেত্রী এই জন্মদিনের দিন কী কী করতেন সে কথাই তুলে ধরেছেন তিনি। স্বস্তিকা তাঁর বাবার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে সন্তু মুখোপাধ্যায় মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছেন। স্বস্তিকা তাঁর দীর্ঘ চিঠিতে জানিয়েছেন যে তাঁর বাবা কোথায় আছেন আর এইদিন তাঁকে আলমারি থেকে নতুন জামা বের করে জোর করে কে পরিয়ে দেবেন, তা তিনি সত্যিই জানেন না। তবে স্বস্তিকার বিশ্বাস কেউ না কেউ তাঁর মতো নিশ্চয়ই আছে, যে অভিনেত্রীর বাবাকে আগলে রেখেছেন। 

প্রতি বছর জন্মদিনে বাবার জন্য নিয়ম করে খাদি থেকে বাবার পছন্দের গেরুয়া রঙের পাঞ্জাবি কিনতেন। তবে সন্তু মুখোপাধ্যায়ের পছন্দ ছিল নতুন ফতুয়া ও লুঙ্গি। সন্ধ্যা নামলে এক বিশেষ ধরনের মদ্যপান করতেন। দেশ-বিদেশের নানা মূল্যবান পানীয় নিয়ে এলেও বাবার পছন্দের সেই বিশেষ পানীয়ের কথাই মন পড়েছে স্বস্তিকার। অভিনেত্রী লেখেন, আশা করি কেউ নিশ্চয়ই আছে, আমার মতো করে তোমায় আগলে রেখেছে। প্রতি বছরের মতো, এ বারেও নতুন ফতুয়া-লুঙ্গি পরো। খাদির দোকানে গেলে, গেরুয়া রং-এর কোনও কাপড় দেখলেই মনে হয় তোমার জন্য একটা পাঞ্জাবি বানাতে দিই, তার পর মুহূর্তেই মনে পড়ে তুমি তো নেই। আজ সন্ধে নামলে দু-পাত্তর ব্যালেন্টাইন খেও। কত ভালবাসতে। পৃথিবীর এত জায়গায় যাই, যত ভাল স্কচই কিনে আনি না কেন সেই ব্যালেন্টাইন-টাই সেরা।

Advertisement

স্বস্তিকা আরও জানান যে তাঁর মা-বাবা চলে যাওয়ার পর থেকে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া, লোকজন আসা, আনন্দ-উৎসব আর হয় না। অভিনেত্রীর দীর্ঘ পোস্টে রয়েছে আক্ষেপও, যদি আর কটা দিন বেশি তিনি বাবাকে পেতেন। তবে বাবাকে যাতে পুরোপুরি অনুভব করতে পারেন তাই বাবার প্রিয় পারফিউম মেখেছেন স্বস্তিকা। বাবার সঙ্গে তাঁর বহু কথা জমে রয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, রোজ ঘুমোতে গেলে ভাবি, চোখ খুললেই হঠাৎ যদি তোমায় দেখতে পাই, জড়িয়ে ধরে বসে থাকবো, অনেক ক্ষণ। বেশি কিছু চাই না, এই টুকুই। কখনও এলে ভেবলি বলে ডেকো বাবা, ঠিক বুঝে নেব তুমি ডেকেছ। প্রসঙ্গত, এর আগেও স্বস্তিকা তাঁর স্বপ্নে বাবার উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন। ২০২০ সালে বাবাকে হারান স্বস্তিকা।  

POST A COMMENT
Advertisement