স্বামীর থেকে বহু বছর আগেই আলাদা হয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। মেয়ে অন্বেষাকে নিয়েই এখন গোটা পৃথিবী অভিনেত্রীর। টলিপাড়ায় তিনি ঠোঁটকাটা বলেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই নিজের একাধিক স্মৃতিচারণ করে থাকেন অভিনেত্রী। রবিবার ছিল নীলষষ্ঠী। এইদিন মায়েরা তাঁদের সন্তানদের জন্য উপোস করে শিবের মাথায় জল ঢেলে, পুজো করেন সন্তানের মঙ্গল কামনায়। এই বছর নীলষষ্ঠীর উপোস করেছিলেন স্বস্তিকাও। আর সেই উপোস রাখার গল্প সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন অভিনেত্রী।
স্বস্তিকা তাঁর স্মৃতির পাতা ঘেঁটে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তাঁদের বাড়ির পরিচারিকা কমলা মাসির সঙ্গে। যিনি স্বস্তিকাদের বাড়িতে বহু বছর ধরে কাজ করতেন। অভিনেত্রী তাঁর পোস্টে কমলা মাসির স্বামী ও তিন সন্তানের কথা যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি কমলা মাসি তাঁদের বাড়িতে কাজ ছেড়ে দেওয়ার পরও রবিবার করে আসতেন এবং বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায় তাঁকে মাইনেও দিতেন। তবে এতকিছু বলার উদ্দেশ্য স্বস্তিকার একটাই, তা হল কমলা মাসির নীলষষ্ঠীর উপোস।
স্বস্তিকা তাঁর পোস্টের মাধ্যমেই জানান যে প্রতিবছর এই নীলষষ্ঠীর দিন অভিনেত্রীকে এসে বলতেন উপোস করতে বলতেন কারণ স্বস্তিকা তখন এক সন্তানের মা। কিন্তু স্বস্তিকা তখন উপোস করতেন না, কারণ তাঁর মা নীলষষ্ঠী করতেন বলে। তবে স্বস্তিকার বোন মা হওয়ার পর নিজে থেকেই নীলের উপোস করতেন। আর স্বস্তিকার উপোসের নাম শুনলেই খিদে পেয়ে যেত। সেই সময় অভিনেত্রীর মা কমলাকে বলতেন যে স্বস্তিকা উপোস করতে পারেন না। অভিনেত্রী আরও বলেন যে মা মারা যাওয়ার পর কমলা মাসি উপোস করে অন্বেষার জন্য মঙ্গল কামনা করতেন। তবে কোভিডের সময় থেকে কমলা মাসির আসা বন্ধ হল স্বস্তিকাদের বাড়িতে। আর অভিনেত্রীর মেয়ে অন্বেষা তথা মানিও বিদেশে চলে গেল। স্বস্তিকাও কাজের সূত্রে এদিক ওদিক যেতে শুরু করলেন।
অভিনেত্রী এরপর আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন তাঁর ভাগের উপোস করার মতো আর কেউ নেই। তাই এখন নীলষষ্ঠীতে তিনি নিজেই উপোস করেন। রবিবার সকালে বোনকে ফোন করে পুজো দিতে কী কী লাগে তা মিলিয়ে নিয়েছেন স্বস্তিকা। বাড়ির রান্নার মাসিকে ফোন করে কোন মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন তাও জেনে নেন অভিনেত্রী। এই পোস্টের শেষে স্বস্তিকা লেখেন, 'পৃথিবীর সন্তানেরা থাকুক দুধে ভাতে - থাকুক আলোতে - মায়ের আঁচল আগলে রাখুক তাদের - নীল ষষ্ঠীর উপোস থাকুক আমাদের মায়েদের টাইমটেবিলে - আমাদের মানি, ফুলকি আর সাবিত্রীদের জন্য।'