টলিপাড়ায় ঠোঁটকাটা বলেই পরিচিত স্বস্তিকা মুখোপাধ্যয়। যখন যেটা ইচ্ছে করে সেটাই করে বসেন। ট্রোল, নিন্দে, সামলোচনাকে একদমই কেয়ার করতে ভালোবাসেন না তিনি। একেবারে নিজের মতো করে জীবনকে চালাতে ভালোবাসেন তিনি। কাজের জন্য বেশিরভাগ সময়ই স্বস্তিকাকে মুম্বইতে থাকতে হচ্ছে। সেখানে অভিনেত্রী একাই থাকেন আর সঙ্গে থাকে তাঁর পোষ্য সাবিত্রী। তবে একরত্তি পোষ্যকে একা ফেলে রেখে যাওয়ার জো নেই। বাধ্য হয়েই পার্লারে চুল কালার করাতে গিয়ে হেডক্যাপ পরেই বাড়ি ফিরলেন স্বস্তিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কথাই শেয়ার করলেন তিনি।
স্বস্তিকা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পোষ্যের সঙ্গে ও পার্লারে গিয়ে তিনি কী করেছেন, কীভাবে ফিরেছেন তার সব ছবি পোস্ট করেন। অভিনেত্রীর কথায়, যিনি অভিভাবক হন, তিনি সব জায়গাতেই অভিভাবক। সেটা মানুষ হোক বা চারপেয়ে। এরপরই স্বস্তিকা জানান যে তিনি প্রায় একবছর পর সাদা চুল কালার করতে ও চুল ট্রিম করাতে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের একটি পার্লারে। যেটা তাঁর বাড়ির ঠিক নীচেই রয়েছে। এক মিনিটের কম সময়েই সেখানে যাওয়া যায়। অভিনেত্রী এরপর বলেন যে তিনি শুধু গ্লোবাল কালার করাবেন চুলে, যেটা হয়তো ১ ঘণ্টার মতো সময় নেবে। হাইলাইট করাতে চাইলেও করতে পারতেন, তবে সেটা আরও সময় সাপেক্ষ।
এরপরই অভিনেত্রী তাঁর পোষ্যের কথা তুলে ধরেন। সাবিত্রী স্বস্তিকাকে ছাড়া এক সেকেন্ডও একা থাকতে রাজি হচ্ছিল না। অথচ অন্যদিন সাবিত্রী ১-২ ঘণ্টা একাই কাটিয়ে দিতে পারে। স্বস্তিকা জানান যে পার্লারে যাওয়ার আগে তিনি সাবিত্রীকে বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যান, বৃষ্টি চলে আসায় এরপর তিনি পোষ্যকে বাড়িতে এনে তাকে খাইয়ে-দাইয়ে সব কাজ সারেন। এরপর স্বস্তিকা যখন বেরোন ঠিক তখনই সাবিত্রীর কান্না শুনতে পান। অভিনেত্রী এরপরই ঠিক কী কী করেন, জানেন? স্বস্তিকা পার্লারে যান, চুলে কালার লাগান, ক্যাপ পরেই বাড়ি ফেরেন, সাবিত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কাটান। ফের অভিনেত্রী পার্লারে যান এবং চুল ধুয়ে ফেলেন। যদিও স্বস্তিকা চেয়েছিলেন যে একটি হেড ম্যাসাজ, কিন্তু সেটারও সময় ছিল না।
স্বস্তিকা এরপর শুধু ট্রিম করেন চুল আর তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরেন সাবিত্রীর কাছে। স্বস্তিকার কথা, সন্তানদের একা রেখে বাইরে গিয়ে অভিভাবকেরা শান্তি পান না। তিনি বাড়ি ফিরতেই সাবিত্রী ঝাঁপিয়ে পড়েন অভিনেত্রীর ওপর আর আদর করতে শুরু করে দেন, যেন তিনি আমেরিকা থেকে ফিরেছেন। আর এরপরই শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েন সাবিত্রী। স্বস্তিকার পোষ্য ক্যান্সার আক্রান্ত, তার কেমো চলছে। কলকাতার পাশাপাশি মুম্বইতে স্বস্তিকা থাকলে তার কাছেই থাকে সাবিত্রী।