scorecardresearch
 

Arindam Sil: 'আচমকাই জড়িয়ে ধরেন অরিন্দম শীল', মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ আরও এক টলি অভিনেত্রী

Arindam Sil: একে তো আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা বাংলা। তারওপর টলিউডের একের পর এক মিটু অভিযোগ জমা পড়ছে মহিলা কমিশনের কাছে। কিছুদিন আগেই পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে টলিপাড়ার এক অভিনেত্রী অশালীন আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন। মহিলা কমিশনে অভিযোগ করার পাশাপাশি পুলিশের কাছেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়।

Advertisement
অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে ফের অভিযোগ অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে ফের অভিযোগ
হাইলাইটস
  • তারওপর টলিউডের একের পর এক মিটু অভিযোগ জমা পড়ছে মহিলা কমিশনের কাছে।

একে তো আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা বাংলা। তারওপর টলিউডের একের পর এক মিটু অভিযোগ জমা পড়ছে মহিলা কমিশনের কাছে। কিছুদিন আগেই পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে টলিপাড়ার এক অভিনেত্রী অশালীন আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন। মহিলা কমিশনে অভিযোগ করার পাশাপাশি পুলিশের কাছেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। মহিলা কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে পরিচালককে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হল পরিচালককে।  

শোনা গিয়েছে, রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন আরও এক অভিনেত্রী। তাঁর সঙ্গেও অরিন্দম শীল অশালীন আচরণ করেছিলেন। তবে সেটা ২০১৭ সালের ঘটনা। যা বছর তিনেক পর ২০২০ সালে অভিনেত্রী নিজে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন। তবে এবার মহিলা কমিশনের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, প্রয়োজন পড়লে পুলিশের কাছেও যেতেও প্রস্তুত ছিলেন তিনি। ২০২০ সাল থেকে যদিও সেই অভিনেত্রী তাঁর সঙ্গে হওয়া যৌন হেনস্থা নিয়ে খোলাখুলি সরব হয়েছিলেন। 

সেই অভিনেত্রীর অভিযোগ অনুযায়ী, পরিচালকের অফিসে স্ক্রিপ্ট রিডিং সেশনের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। তখনই আচমকাই তাঁকে জাপটে ধরেন অরিন্দম। তখনই অস্বস্তিতে পড়ে যান অভিনেত্রী। কারণ সেখানে স্নেহের পরশের বদলে ছিল লালসা। শুধু তাই নয়, ওই অভিনেত্রীর চুলে হাত বোলাতে শুরু করেন পরিচালক চিত্রনাট্য পড়ার সময়। এরপরই শরীরের নিচের দিকে ক্রমাগত হাত যাচ্ছিল পরিচালকের। এখানেই শেষ নয়! ওই অভিনেত্রী এও জানান যে, এরপর পরিচালক কাউচে বসে তাঁকে তাঁর পাশে বসার জন্যেও আহ্বান জানান। তবে কেন তিনি এত বছর পর এই পদক্ষেপ নিলেন সে প্রসঙ্গেও অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে সেই সময় তাঁর ডিভোর্স কেস চলছিল এবং তাঁর সন্তান অনেকটাই ছোট ছিল। 

আরও পড়ুন

Advertisement

তবে সেই অভিনেত্রী তাঁর সঙ্গে ঘটা হেনস্থা নিয়ে ২০২০ সালেই মুখ খোলেন। তবে সেই সময় পরিচালকের দাবি ছিল যে অভিনেত্রী নাকি রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে গোটা বিষয়টিতে। তবে ওই অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে তাঁর সঙ্গে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। তিনি আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন। দরকার পড়লে পুলিশের কাছেও যেতে পারেন। এই অভিযোগ শোনার পর এক সংবাদমাধ্যমের কাছে অরিন্দম শীল বলেন, 'ঘটনার পর ওই অভিনেত্রীর সঙ্গে আমার দেখাও হয়েছে। আমার স্ত্রীর সঙ্গেও ওঁর কথা হয়েছে। ওই অভিনেত্রীর পাঠানো সমস্ত ম্যাসেজ আমার কাছে রয়ে গিয়েছে। যার একটাতে উনি বলেছিলেন-আপনি আমার পথপ্রদর্শক হোন। এখন আইনজীবীর পরামর্শ মতোই চলছি।' 

Advertisement