সপ্তাহের প্রথমদিন সোমবার ছাদনাতলায় যাচ্ছেন সোহিনী সরকার ও শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। দুজনে প্রথম থেকেই সম্পর্ক নিয়ে বজায় রেখেছেন রাখঢাক। এমনকী, বিয়ে নিয়েও গোপনীয়তা কম নেই। কিন্তু বিয়ের খবর কী আর চেপে রাখা যায়। জানা গিয়েছে, কলকাতার কাছেই এক ফার্মহাউসে হবে সোহিনী-শোভনের বিয়ে। আর সকালেই সেরে নেওয়া হয়েছে গায়ে হলুদ পর্ব।
সোমবার সকালে গায়ে হলুদ হয়ে গেল সোহিনী-শোভনের। তাঁদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না হলেও সোহিনীর ননদ কিন্তু জানিয়ে দিলেন যে তাঁদের দাদা-বৌদির গায়ে হলুদ পর্ব ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। আসলে শোভনের মাসির মেয়ে দীপ্সিতা ধর। আর দাদার বিয়েতে বোন থাকবে না তা কী করে হয়। দীপ্সিতা যে ছবি পোস্ট করেছেন, সেখানে তাঁকে হলুদ রঙের শাড়ি ও সরু ফিতের ব্লাউজে দেখা গিয়েছে। চোখে সানগ্লাস পরে তিনি সিঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। আর এই ছবির ক্যাপশনে দীপ্সিতা লিখেছেন, যখন বউ সকলকে নির্দেশ দেন হলুদ পোশাক পরার। আর এই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট যে সোহিনী তাঁর ও শোভনের গায়ে হলুদের সময় সকলকে হলুদ রঙের পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছেন। দীপ্সিতা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আরও একটি ছবি শেয়ার করেছেন যেখানে তাঁর আর একটি বোনও হলুদ রঙের শাড়ি পরে রয়েছেন।
দীপ্সিতা ও শোভন সম্পর্কে ভাই-বোন। একই পাড়ায় তাঁরা বড় হয়েছেন। শোভনের সঙ্গে তাঁর বোন দীপ্সিতার সম্পর্ক খুবই ভাল। এমনকী শোভনের জন্মদিনের পোস্টেও দীপ্সিতা যে ছবি শেয়ার করেছিলেন সেখানে সোহিনীকেও দেখা গিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের সয় শ্রীরামপুর থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলেন দীপ্সিতা। তাঁকে এই সময় শোভন-সোহিনীর বিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান যে তাঁর দাদা বিয়ে করলে তিনি অবশ্যই যাবেন। আর বিয়ের সকাল থেকেই হাজির হয়ে গিয়েছেন দীপ্সিতা।
হঠাৎই যেন একে-অপরের প্রেমে পড়েন শোভন-সোহিনী। দুজনেই বছর দুই আগেও ছিলেন পাকাপোক্ত সম্পর্কে। সোহিনীর ভালোবাসা ছিল রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে। আর শোভনের প্রেমিকা ছিলেন ছোটপর্দার নায়িকা স্বস্তিকা দত্ত। কিন্ত গত বছরই সোহিনী-শোভনের সম্পর্ক ভাঙে। আর এরপরই তাঁরা জড়িয়ে পড়েন একে-অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে। জানা গিয়েছে, বিয়ের দিন লাল রঙের বেনারসি পরবেন সোহিনী। শোভন পরবেন ধুতি-কুর্তা। মাটন ও মাছের সঙ্গে অতিথিদের বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হবে। শুধুমাত্র পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে সই-সাবুদ করেই বিয়ে করবেন সোহিনী-শোভন।