
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবন বেশ চর্চিত। তাঁকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই মানুষের। বিশেষ করে পরিচালকের বিবাহিত জীবনে কী চলছে, তা অনেকেই জানতে চান। তার অন্যতম কারণ হল সৃজিতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা থাকেন না। মিথিলা তাঁর মেয়েকে নিয়ে এই মুহূর্তে বাংলাদেশেই রয়েছেন। তবে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে কিনা অথবা সেই পথে সৃজিত-মিথিলা হাঁটবেন কিনা, তা নিয়ে অবশ্য দুজনের কেউই মুখ খোলেননি। আর এরই মাঝে টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, সৃজিতের সঙ্গে এক বিদেশিনী অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। আর সম্প্রতি তাঁদের দুজনকে এক ফিল্মি পার্টিতে দেখা গিয়েছে একসঙ্গে। তারপর থেকে জল্পনা আরও তুঙ্গে। আর এইসব নিয়ে স্বয়ং পরিচালক কী বলছেন?
টলিপাড়ার খুবই চেনা মুখ আলেকজান্দ্রা টেলর। অনেক বাংলা ছবিতেই তাঁকে দেখা গিয়েছে অভিনয় করতে। সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। কিলবিল সোসাইটির প্রিমিয়ারে আলেকজান্দ্রা ও সৃজিতকে কথা বলতে দেখা যায়। আর সেখান থেকেই নেটিজেনদের একাংশের ধারণা হয়েছে যে তাঁদের মধ্যে কি তাহলে কিছু চলছে? এক সংবাদমাধ্যমকে সৃজিত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে প্রেম নয়, আলেকজান্দ্রা পরিচালকের খুব ভাল বন্ধু।
তবে আলেকজান্দ্রা ও সৃজিতের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিল হল দুজনেই সাপ ভালোবাসেন। অভিনেত্রী এর আগে একটি পেট শপে বহুদিন কাজও করেছেন। সৃজিতেরও সাপ-প্রেম অসম্ভব। বাড়িতে পুষেছেন প্রায় ৪টে সাপকে। তাংদের আবার রয়েছে আলাদা আলাদা নামও। প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই মিথিলা ও সৃজিতের দাম্পত্য নিয়ে চর্চা চলছে। এমনকী গত বছর পরিচালকের জন্মদিনেও দেখা যায়নি মিথিলা ও তাঁর মেয়েকে। শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পরিচালক। সেই সময়ই স্ত্রী মিথিলা পাশে ছিলেন না।
২০১৯ সালে বাংলাদেশী অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে বিয়ে করেন সৃজিত। মিথিলার রয়েছে প্রথম পক্ষের এক সন্তান, আইরা। শহরের এক নামী স্কুলে আইরাকে ভর্তিও করা হয়েছিল। তবে সেই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আইরাকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছেন সৃজিত-পত্নী। এক বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যমকে মিথিলা দেশে ফেরার কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘আমার ঢাকায় চলে যাওয়ার মূল কারণ ছিল, মেয়েকে পরিবারের সাহচর্য দেওয়া।’ মিথিলার মতে, কর্মরত মা তিনি। আইরা যেহেতু এখনও অনেকটাই ছোট। তাই তাঁর যত্নের জন্য প্রয়োজন পড়ে ঠাকুরদা-ঠাকুমা, শাশুড়ি, বন্ধুদের। আর সেটা রয়েছে বাংলাদেশেই।