'ধূমকেতু' মুক্তি হওয়ার ঘোষণা যবে থেকে হয়েছে, সেদিন থেকেই দেব-শুভশ্রীকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে তাঁর ভক্ত-অনুগামীদের মধ্যে। তারওপর ৪ অগাস্ট এই ছবির ট্রেলার লঞ্চের দিন মঞ্চে একসঙ্গে দেব-শুভশ্রীকে দেখে দর্শকদের উন্মাদনা ছিল একেবারে অন্য পর্যায়ের। তাঁদের মান-অভিমান পর্ব, খুনসুটি, একসঙ্গে নাচ-গান সবটাই দর্শকদের দারুণ পছন্দ হয়েছিল। এরপর ধূমকেতু মুক্তির আগে বড়মার মন্দিরে রং মেলান্তি পোশাকে পুজো দিতে দেখা যায় দেব-শুভশ্রীকে। আর এরই মাঝে কোথাও যেন রাজ-শুভশ্রীর জুটিকে মিস করছিলেন সকলে। এবার সবকিছু মিটতেই চেনা ছন্দে ধরা দিলেন রাজশ্রী।
ধূমকেতুর সাফল্য রীতিমতো আকাশছোঁয়া। ছবির প্রচারেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন শুভশ্রী। আর এইসব মিটতেই রাজ ও দুই সন্তানকে নিয়ে হালিশহরে ছুটি কাটাতে গেলেন তাঁরা। জন্মাষ্টমীর দিন রাজের আদি বাড়িতেই হল পুজোর আয়োজন। সেখানেই একেবারে নব দম্পতির মতো ধরা দিলেন রাজ ও শুভশ্রী। যাঁদের জুটি টলিপাড়ায় পাওয়ার কাপল নামেই পরিচিত। শুভশ্রীকে দেখা গেল সোনালি রঙের শাড়ি ও লাল স্লিভলেস ব্লাউজে। হাতে শাঁখা-পলা, সঙ্গে সোনার মোটা চুড়ি, গলায় লম্বা হার, কানে ঝুমকো। সিঁথিতে সিঁদুর ও কপালে লাল টিপ। অপরদিকে, রাজ পরেছিলেন নীল রঙের পাঞ্জাবি।
একে-অপরের দিকে তাকিয়ে সেই চেনা হাসি দিয়ে পোজ দিলেন রাজশ্রী। শুভশ্রী সেই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে হার্টের ইমোজি দিলেন। হালিশহরে রাজ-শুভশ্রী ভাল সময় কাটিয়েছেন। ইউভানের ধরা মাছ জমিয়ে ভেজে খেয়েছেন রাজ, আবার কখনও ধরা পড়েছে ইউভানের দুষ্টুমি। সব মিলিয়ে সপ্তাহান্তটা ভালই কাটল রাজ-শুভশ্রীর। গত কয়েকদিনে দেব-শুভশ্রীর কারণে রাজ ও রুক্মিণীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। যদিও দেব এক অনুষ্ঠানে এসে এই মিম ও ট্রোলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন রাজ-শুভশ্রীর কাছে।
দেবের সঙ্গে ব্রেকআপের পর শুভশ্রী সম্পর্কে জড়ান রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। ২০১৮ সালে রাজ ও শুভশ্রী বিয়ে করেন রাজকীয়ভাবে। দুই সন্তানের অভিভাবক হয়েও তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার কোনও কমতি হয়নি। ধূমকেতু মুক্তি নিয়ে বা দেবের সঙ্গে শুভশ্রীর প্রচারে যাওয়া নিয়ে রাজ প্রথম থেকেই স্ত্রীকে সমর্থন করে গিয়েছেন। একাধিক সাক্ষাৎকারে ধূমকেতুর সাফল্য নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। গত ১৪ই অগস্ট মুক্তি পেয়েছে প্রাক্তন প্রেমিক জুটি দেব-শুভশ্রীর ১০ বছর ধরে বাক্সবন্দি ছবি ধূমকেতু। এক দশক পর রুপোলি পর্দায় ‘দেশু' ম্যাজিক দেখতে মুখিয়ে ছিল ভক্তরা।