টলিপাড়ার অনেকেই আছেন যাঁরা জগন্নাথদেবের পরমভক্ত। সেই তালিকায় রাজ-শুভশ্রী যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছেন মিমি চক্রবর্তী আবার সেই তালিকায় আছেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তীও। দিঘার মন্দির উদ্বোধনের সময় যখন তাঁকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয় গায়িকার আনন্দের শেষ ছিল না। বাড়িতেও রয়েছে প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ দেব। স্নানযাত্রা থেকে রথ, উল্টো রথ সবটাই হয় ইমনের বাড়িতে খুবই নিষ্ঠা সহকারে। আর বাড়ির উল্টো রথ মিটতেই পরের দিন পুরীতে চলে আসেন গায়িকা। শুধু তাই নয়, ইমনের দেওয়া শাড়িতে সেজে ওঠেন জগন্নাথদেব। যার ঝলক শেয়ার করেছেন গায়িরা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
৫ জুলাই শনিবার ছিল উল্টো রথ। আর তার পরের দিনই পুরীতে আসেন গায়িকা। এক সংবাদমাধ্যমকে ইমন জানিয়েছেন তাঁর জগন্নাথ দর্শনের অভিজ্ঞতা। ইমন জানান যে মহাপ্রভুর সুনাবেশ দর্শন করার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর। এদিন জগন্নাথদেব সোনার অলঙ্কারে সাজেন। আর সোমবার আষাঢ় শুক্লা দ্বাদশীতে ছিল অধরাপনা উৎসব। যেদিন জগন্নাথদেবকে ‘পানা’ বা শরবত নিবেদন করার চল রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতা ফেরার কারণে নিলাদ্রী বিজয় উৎসবে থাকতে পারেননি গায়িকা। এদিন মহাপ্রভু জগন্নাথদেব আবার মন্দিরে প্রবেশ করেন।
ইমন জানিয়েছেন যে মহাপ্রভুর টানেই তিনি পুরী আসেন প্রতিবছর। এই বছর পুরীতে পৌঁছানো পর্যন্ত চূড়ান্ত ট্রাফিকের মুখে পড়েন গায়িকা। ইমনের কথায়, যানজটের ভীষণ সমস্যা। আর সেই অব্যবস্থায় দর্শনার্থীদের নাকানিচোবানি পরিস্থিতি। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে পুরী যেতে একঘণ্টা সময় লাগে, কিন্তু এই সময় ইমনদের চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে। তবে এত সমস্যার মুখোমুখির পরও এই বছরের পুরী সফর ইমনের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়। ইমন কলকাতা থেকে মহাপ্রভুর জন্য একটি শাড়ি কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু চিন্তা ছিল সেটা জগন্নাথদেবকে কীভাবে অর্পণ করবেন। সোমবার সকালে ইমন ভিড় ঠেলে প্রভুর সামনে সবেমাত্র গিয়েছেন। একজন দৈতাপতির হাতে শাড়িটা দিয়ে ইমন জগন্নাথদেবকে পরিয়ে দিতে বলেন। উনি পরিয়েও দিলেন। আর সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে রাখেন ইমন।
গায়িকার লিলুয়ার বাড়িতে খুব ঘটা করে জগন্নাথদেবের পুজো হয়ে থাকে রথের দিন। তার আগে হয় স্নানযাত্রার পুজো। স্নানযাত্রার দিন ইমনের বাড়িতে হয় ৫৬ ভোগ, রথ পুজো হয়। ইমন নিজে পুরী থেকে গিয়ে মহাপ্রভুর জন্য পোশাক নিয়ে আসেন। গত বছর রথের দিন কলকাতায় ছিলেন না, তবে জগন্নাথদেবকে নিয়েই বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানেই রথের পুজো ও উল্টো রথের পুজো সারেন। স্যুটকেসে জগন্নাথদেবকে বসিয়ে সেটাকেই রথ মনে করে টানেন।