Sreemoyee-Kanchan: 'মহিলাদের শৌচালয় নেই, চরম অব্যবস্থা', মহাকুম্ভে তিক্ত অভিজ্ঞতা শ্রীময়ীর

Sreemoyee-Kanchan: ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের আয়োজন। আর এই পুণ্যতিথি শেষ হতে চলেছে শিবরাত্রির দিন। আর এই শুভ সময় থাকতে থাকতে অনেকেই কুম্ভে গিয়ে স্নান করার সুযোগ ছাড়ছেন না। টলিউড থেকেও অনেকে গিয়েছেন মহাকুম্ভে। সাংসদ-অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

Advertisement
'মহিলাদের শৌচালয় নেই, চরম অব্যবস্থা', মহাকুম্ভে তিক্ত অভিজ্ঞতা শ্রীময়ীরমহাকুম্ভে কাঞ্চন-শ্রীময়ী
হাইলাইটস
  • ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের আয়োজন।

১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের আয়োজন। আর এই পুণ্যতিথি শেষ হতে চলেছে শিবরাত্রির দিন। আর এই শুভ সময় থাকতে থাকতে অনেকেই কুম্ভে গিয়ে স্নান করার সুযোগ ছাড়ছেন না। টলিউড থেকেও অনেকে গিয়েছেন মহাকুম্ভে। সাংসদ-অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রয়াগরাজের ব্যবস্থা রচনাকে মুগ্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু সেই মহাকুম্ভে গিয়েই উল্টো সুর শোনা গেল তৃণমূলের বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের গলায়। 

হঠাৎ করেই কুম্ভে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন শ্রীময়ী ও কাঞ্চন। তাই মেয়ে কৃষভিকে ছেড়েই আসতে হয়েছে। শুক্রবার রাত দেড়টায় বারাণসী পৌঁছান কাঞ্চন-শ্রীময়ী। শনিবার সকাল নটা নাগাদ ত্রিবেণী সঙ্গমে আস্থার ডুব দিলেন টলিউডের এই তারকা দম্পতি। তবে মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতা একেবারেই ভাল নয় তাঁর। এক সংবাদমাধ্যমকে শ্রীময়ী বলেন, 'মহিলাদের শৌচালয় নেই। চোখের সামনে দেখছি কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছেন।' শ্রীময়ী জানিয়েছেন, কাঞ্চনের আসার ইচ্ছে ছিল না। জোর করে শ্রীময়ী নিয়ে এসেছেন। 

কিন্তু এখানে এসে একেবারে বিপরীত চিত্র। শ্রীময়ীর কথায়, 'চূড়ান্ত অব্যবস্থা এখানে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারকাদের ঝাঁ চকচকে স্নানের ছবি দেখলে ঠকতে হবে।' শ্রীময়ী জানান তিনি ত্রিবেণী সঙ্গমে ভিআইপি জোনেই আস্থার ডুব দিয়েছেন তাঁরা। স্নানটা শান্তিতে করতে পেরেছেন। অভিনেত্রী জানান, সঙ্গমের খুব সুন্দর পরিবেশ। পোশাক বদলানোর জন্য জায়গা পেয়েছেন তবে তার পরের অবস্থা খুবই জঘন্য। সংবাদমাধ্যমকে শ্রীময়ী আক্ষেপ করে বলেছেন, 'মহিলাদের শৌচালয় পর্যন্ত নেই। রাস্তাঘাটে যে যার মতো পারছে গাড়ি চালাচ্ছে। কেউ বাইক চালাতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে। তাকে তোলার মতো কেউ নেই পর্যন্ত। মহাকুম্ভে ঢুকেই চোখের সামনে দেখলাম মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। তড়িঘড়ি প্রাথমিক চিকিৎসা যে করবে, সেই ব্যবস্থাটুকু নেই। স্নান সেরে ফেরার পথে আমারও চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। চোখেমুখে জল দিয়ে একটু শান্তি পাই।'

Advertisement

শ্রীময়ী এও বলেন যে মারাত্মক যানজট। পুলিশ ও স্থানীয় ভলান্টিয়ারদের ব্যবহারও খুব খারাপ। শ্রীময়ী বলেন, 'আমাদের তো তারকেশ্বর উৎসব হয়। তবে সেটা আকারে ছোট হলেও ব্যবস্থাপনা তুলনামূলক ভাল।' কাঞ্চন-পত্নী জানিয়েছেন, প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা শৌচালয়ে যেতে পারেননি তিনি। কোনও বায়ো টয়লেট নেই। মহিলা হিসাবে তাঁর খুবই সমস্যা হয়েছে। গোটা রাস্তায় পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। সবাই তো ভিআইপি নয়। এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা। এত কোটি কোটি মানুষ পুণ্যার্থে যোগ দিচ্ছেন যখন, তখন ব্যবস্থাপনায় আরও নজর দিলে ভালো হত, বলে জানিয়েছেন শ্রীময়ী। 

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যোগী প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তাঁর কথায়, যোগী আদিত্যনাথের সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন এখানে। এরপর অপরাজিতা আঢ্য, শ্রীমা ভট্টাচার্য, সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দেবলীনা কুমারের মতো টলিউডের একাধিক তারকা ত্রিবেণী সঙ্গমে আস্থার ডুব দেন। পরিচালক অরিন্দম শীলও স্ত্রী শুক্লার সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রয়াগরাজে। আর শেষলগ্নে কুম্ভে স্নান সারেন শ্রীময়ী ও কাঞ্চন। 

যদিও প্রশাসনের দাবি, কুম্ভে ঢোকার সময় এবং কুম্ভের বিভিন্ন অংশে বায়ো টয়লেট রয়েছে। মহিলাদের গোলাপি রঙের ও পুরুষদের জন্য সবুজ রঙের বায়ো টয়লেট চিহ্নিতকরণ রয়েছে। প্রায় কয়েক হাজার বায়ো টয়লেট রয়েছে গোটা কুম্ভ জুড়েই। তবে গঙ্গার ঘাটে কোনও শৌচালয়ের ব্যবস্থা নেই। রয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থাও। 

POST A COMMENT
Advertisement