গত ১৫ দিনে একের পর এক অভিনেত্রী ও মডেলের রহস্যমৃত্যুর খবর এসেছে। ১৬ মে গড়ফার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ। ২৫ মে নাগেরবাজারে বিদিশা দে মজুমদারের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার পর ২৭ মে আত্মঘাতী হন পাটুলির মঞ্জুষা নিয়োগী। ২৯ মে আবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে উঠতি মডেল সরস্বতী দাসের। এবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তেলুগু টিভি অভিনেত্রী মৈথিলি। ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে পুলিশের তৎপরতায় বেঁচে গিয়েছেন মৈথিলি।
জানা গিয়েছে, অভিনেত্রীর ফোনের সিগন্যাল ধরে ঠিক সময়ে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। সেখানে বেহুঁশ অবস্থায় মেলে তাঁর দেব। দেরি না করে মৈথিলিকে চিকিৎসার জন্য নিমস হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। যেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। বলে রাখি, ৬ মাস আগে স্বামীর বিরুদ্ধে হেনস্থা মামলা দায়ের করেছিলেন মৈথিলি।
৩১ মে মৈথিলীর আত্মহত্যার তথ্য পায় পাঞ্জাগুত্তা থানা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশ মৈথিলীর বাড়িতে পৌঁছয়। সেখানে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে, ৬ মাস আগে স্বামীর বিরুদ্ধে হয়রানির মামলা করেছিলেন মৈথিলি। ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পিএস পাঞ্জাগুত্তা থানায় স্বামী শ্রীধর রেড্ডি-সহ আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে ফেলেছে পুলিশ। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সোমবার স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মোথে পুলিশ থানায় অভিযোগ করেছেন মৈথিলি। চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে খরপোষ নিয়েও মামলা চলছে মৈথিলির। স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- 'পারফরম্যান্স ঠিক আছে?' নাচের পর সৌরভের প্রশ্নে ডোনার জবাব,'ফাটাফাটি'