বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ বিনোদন জগতে। প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। মঙ্গলবার শহরের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে বিকেল ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নভেম্বরের শেষ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এদিন শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পীকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সঙ্গীত জগতের এই নক্ষত্রপতনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগৎ তথা গোটা দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ওস্তাদ রশিদ খান। গত নভেম্বর মাসে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় তড়িঘড়ি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল শিল্পীর। অনেক দিন ধরে ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করতে পারছিলেন না। ফলে রাইলস টিউবে খাওয়ানো হচ্ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে মঙ্গলবার সকালে আচমকাই ছন্দপতন হয়। সংক্রমণ বেড়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হয়। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন শিল্পীর শারীরিক অবস্থার কথা শুনে, তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন রশিদ খান। গত কয়েক বছর ধরেই ক্যান্সারে ভুগছেন এই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী। শুরুতে মুম্বইয়ের একটি নামী ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে সেখান থেকে কলকাতায় আসেন। এরপর মাঝে মধ্যেই অসুস্থতার কথা শোনা যেত তাঁর। সুস্থ হচ্ছিলেন ধীরে ধীরে। কিন্তু এরপর ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায়, প্রায় মাস দু'য়েক হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, উস্তাদ রশিদ খানের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। ছোটবেলা থেকেই তিনি বেরে উঠেছে সঙ্গীত পরিবারে। উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাগ্নে তিনি। কাকাই প্রথম শিল্পীকে মুম্বই নিয়ে যান। সেখানেই গানের তালিম নেন। এরপর উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে বাড়িতেই গানের তালিম নেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তাঁর বিপুল পরিচিতি। যদিও এর পাশাপাশি একাধিক ছবির গান গেয়েছেন তিনি। 'যব উই মেট', 'কিসনা', 'হাম দিল দে চুকে সনম', 'মাই নেম ইজ খান', 'রাজ ৩'-র মতো বলিউড ছবির পাশাপাশি 'মিতিন মাসি', 'বাপি বাড়ি যা', 'কাদম্বরী'-র মতো বাংলা ছবিতেও রয়েছে তাঁর গান।