June Malia: আজও প্রাক্তন স্বামীর পদবী ব্যবহার করেন, জুন মালিয়ার আসল নাম কী?

তিনি অভিনেত্রীও আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদও বটে। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির কাজও সমান দক্ষতার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন যিনি, তিনি হলেন জুন মালিয়া। ছিপছিপে রোগাটে গড়ন আর মিষ্টি মুখের জুন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি জুনের ব্যক্তিগত জীবন ছিল চর্চায় ভরা। ডিভোর্সের পর দ্বিতীয় বিয়ে করলেও আজও জুন ব্যবহার করেন তাঁর প্রথম স্বামীর পদবী। কিন্তু কেন জানেন?

অভিনেত্রী-সাংসদের আসল নাম জুন দুবে। মালিয়া তাঁর প্রথম স্বামীর পদবী। যদিও তিনি পরিচিত জুন মালিয়া হিসাবেই। বাবার শিকড় এলাহবাদ। মা বাঙালি। জন্মসূত্রে তিনি দুবেই। যদিও বাংলা তাঁকে আজও চেনে জুন মালিয়া হিসেবেই। কলকাতার নামী স্কুলে পড়াশোনা, রক্ষণশীল পরিবার। পিসির বাড়িতে গিয়ে প্রথম প্রেমে পড়া--- জুনের জীবন যেন সাক্ষাৎ সেই রূপকথাই, সে রূপকথা তাঁর একার নয়। সেই কিশোরী বয়সেই তাতে ভাগ বসিয়েছিলেন সঞ্জীব মালিয়া, জুনের প্রথম স্বামী। 

খুব অল্প বয়সেই জুনের সঙ্গে তাঁর প্রথম স্বামী সঞ্জীবের প্রেম শুরু। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই মা হন জুন। ‌ কিন্তু সংসারের যাঁতাকলে পড়ে হাঁসফাঁস করছিলেন তিনি। শ্বশুরবাড়িতে স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। ছোটবেলা থেকেই নাচতে ভালবাসতেন জুন। ক্ল্যাসিকাল ডান্স শিখতেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে সেসবকে গুরুত্ব দেওয়া হত না। দুই সন্তানকে নিয়ে ক্রমাগত সংসারের মধ্যেই জড়িয়ে পড়ছিলেন তিনি। নিজের জন্য আলাদা করে সময় বলতে কিছুই ছিল না। স্বামীর কাছে গাড়ি চালানো শেখার আবদার করলেও হেসে উড়িয়ে দিতেন সঞ্জীব। সংসারের বাইরে যেন তার কোন ও অস্তিত্বই ছিল না। জীবনটাকে এইভাবে শেষ করে দিতে চাননি জুন। তাই চরম সিদ্ধান্ত নিতেই হয়েছিল তাঁকে। জুন বেরিয়ে আসেন তাঁর সাধের সংসার ছেড়ে। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে একলা মেয়ের লড়াই শুরু হয়। ডিভোর্স হলেও জুন যেহেতু সব জায়গাতে এই নামেই পরিচিত তাই তিনি আর পদবী বদলাননি। প্রথম স্বামীর মালিয়া পদবী জুন আজও ব্যবহার করেন। 

সালটা ২০১৯। এক নভেম্বরের সন্ধেতে ছেলে-মেয়েকে সাক্ষী রেখেই ফের নতুন ভাবে জীবন শুরু করেন জুন। স্বামী সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যদিও বিনোদন দুনিয়ার যোগাযোগ ছিল না। তবু চুপিসারে ১৪ বছর সম্পর্কের পর ছিমছাম ভাবেই বিয়ে করেন ওঁরা। এখন জুনের গোছানো সংসার। স্বামী ও দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সুখেই কাটছে জীবন।