Lagnajita Chakraborty: 'জাগো মা' গাওয়ায় আপত্তি TMC নেতা মেহবুবের, থানায় অভিযোগ লগ্নজিতার

শীতকাল আসা মানেই শিল্পীদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। তাঁদের রীতিমতো দম ফেলার ফুরসৎ থাকে না। সেরকমই এক অনুষ্ঠান করতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হল জনপ্রিয় গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে।

Advertisement
'জাগো মা' গাওয়ায় আপত্তি TMC নেতা মেহবুবের, থানায় অভিযোগ লগ্নজিতারলগ্নজিতা চক্রবর্তী
হাইলাইটস
  • শীতকাল আসা মানেই শিল্পীদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে।

শীতকাল আসা মানেই শিল্পীদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। তাঁদের রীতিমতো দম ফেলার ফুরসৎ থাকে না। সেরকমই এক অনুষ্ঠান করতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হল জনপ্রিয় গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে। গান করতে করতেই মঞ্চের ওপর এক ব্যক্তি গায়িকাকে রীতিমতো মারতে ছুটে আসেন। কিছু বোঝার আগেই গায়িকার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে যায়। লগ্নজিতা এই নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঠিক কী ঘটেছিল গায়িকার সঙ্গে?

লগ্নজিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও তাঁর আপ্ত-সহায়ক (ম্যানেজার) অনসুক মিত্র পুরো ঘটনাটি নিয়ে bangla.aajtak.in-এর কাছে মুখ খুলেছেন। গায়িকার ম্যানেজার ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ২০ ডিসেম্বর শনিবার, দিদির (লগ্নজিতা) মেদিনীপুরের ভগবানপুর এলাকায় স্টেজ শো ছিল। আর সেখানেই গায়িকার সঙ্গে এক ব্যক্তির সেকুলার গান গাওয়ার দাবিতে মারমুখী হন। এদিন ভগবানপুর এলাকার সাউথ পয়েন্ট পাবলিক স্কুলে অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধে ৭টা নাগাদ। সুন্দরভাবেই অনুষ্ঠান এগোচ্ছিল। লগ্নজিতাও তাঁর গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের মুগ্ধ করছিলেন। 

গায়িকার ম্যানেজার জানান, সন্ধে ৭.৪৫ নাগাদ তাঁর সপ্তম গান গাওয়া শেষ হয় এবং অষ্টম গানে যাওয়ার আগে লগ্নজিতা শ্রোতাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, যেটা তিনি সব সময়ই অনুষ্ঠানে করে থাকেন। লগ্নজিতার সপ্তম গানটি ছিল চলতি বছরের পুজোয় মুক্তি পাওয়া 'দেবী চৌধুরাণী' ছবির গান 'জাগো মা'। এই গান শেষ করে যখন গায়িকা পরবর্তী গানে যাওয়ার আগে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, ঠিক তখনই এক ব্যক্তি দৌড়ে মঞ্চে আসে এবং লগ্নজিতার মুখের সামনে চলে যায়। অত বাউন্সার, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোক থাকা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি মঞ্চে উঠে আসেন। লগ্নজিতার ম্যানেজার জানিয়েছেন যে ওই ব্যক্তি গায়িকাকে মারতে উঠেছিলেন কিন্তু বাধা পাওয়ার কারণে সেটা করতে পারেননি। ওই ব্যক্তিকে যখন মঞ্চ থেকে নামানো হচ্ছে, তখন উনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘অনেক জাগো মা হয়েছে, এবার একটু সেকুলার গা!’ গায়িকার ম্যানেজারের কথায় ওই ব্যক্তি গায়িকাকে তুই বলে সম্বোধন করছিলেন।  

Advertisement

ছবি সংগৃহীত

এমন পরিস্থিতি হওয়ার পর আর অনুষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি গায়িকা। দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি মাঝপথেই অনুষ্ঠান থামিয়ে দেন। এরপর গায়িকা সোজা ভগবানপুর থানায় যান এবং সেখানে সবটা জানিয়ে সেই স্কুলের অন্যতম মালির মেহেবুব মল্লিকের বিরুদ্ধে জেনারেল ডায়েরি করেন। কারণ পুলিশ এফআইআর নিতে চাইছিল না বলে দাবি করেন গায়িকার ম্যানেজারের। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির শঙ্কুদেব পণ্ডা। শঙ্কুদেবের দাবি, লগ্নজিতা নিজে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু ভগবানপুর থানা শুধুমাত্র জেনারেল ডায়েরি করেছে, যেখানকার ওসি শাহজাহান হক। লগ্নজিতার অভিযোগপত্রের একটি প্রতিলিপিও তুলে ধরেন শঙ্কুদেব। তিনি জানান, 'অ্যাসল্ট' করার চেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লগ্নজিতা। সরাসরি আক্রমণ করা হয় তাঁকে। লগ্নজিতার অভিযোগে মেহবুবের নামে অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি শঙ্কদেবের। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে বেশ বিধ্বস্ত গায়িকা। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিক গ্রেফতার এবং ভগবানপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

 

POST A COMMENT
Advertisement