
টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তাঁর অভিনয় সকলের কাছে প্রশংসিত। পেশাগত জীবনে সফল হলেও প্রসেনজিৎ-এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয় না। অভিনেতার তিনটে বিয়ে। দুটি অসফল। এখন স্ত্রী অর্পিতা ও ছেলে তৃষাণজিৎকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। প্রসেনজিতের প্রথম স্ত্রী ছিলেন দেবশ্রী রায়। কিন্তু অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী কে ছিলেন? কেনই বা তাঁদের বিচ্ছেদ হল আসুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রসেনজিতের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম অপর্ণা গুহ ঠাকুরতা। দেবশ্রীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর টানা দু’বছর নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন প্রসেনজিৎ। এরপর সব ভুলে তিনি অপর্ণার সঙ্গে আবার নতুন সংসার শুরু করেন। অপর্ণা গ্ল্যামার দুনিয়ার কেউ ছিলেন না। যদিও নায়িকাদের থেকে কম সুন্দরী নন তিনি। ১৯৯৭ সালে তাদের বিয়েটা হয়েছিল। কিন্তু অপর্ণা ও প্রসেনজিতের বিয়ের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছরের। তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে, যার নাম প্রেরণা। যদিও বাবার সঙ্গে এখন আর তার কোনও যোগাযোগ নেই। মায়ের সঙ্গে লন্ডনে থাকেন প্রেরণা।
প্রসেনজিতের সঙ্গে অপর্ণার বিয়ে ভাঙা নিয়ে অনেক জল্পনা রয়েছে। বলা হয় প্রসেনজিতের সঙ্গে বিভিন্ন নায়িকাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। অপর্ণা মোটেও এটা মেনে নিতে পারেননি।। প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে তিনি মেয়েকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান। যদিও এই নিয়ে নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এখন মা ও মেয়ে থাকেন লন্ডনে। প্রসেনজিতের মেয়ের বয়স এখন ২৫ বছর। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না প্রেরণা। কিন্তু পিসি পল্লবীর সঙ্গে তার বেশ ভালো সম্পর্ক আছে।
২০০২ সালে অপর্ণা এবং প্রসেনজিতের ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই প্রসেনজিৎ অর্পিতাকে বিয়ে করেন। দেখতে দেখতে তাদের বিয়ের বয়স ২৩ বছর পার হলো। স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে মিশুককে নিয়ে প্রসেনজিতের এখন সুখের সংসার। যদিও প্রসেনজিৎ এখনও তাঁর মেয়েকে দেখেননি। তবে ইচ্ছে আছে কোনওদিন দেখা হলে মেয়েকে জড়িয়ে ধরতে চান তিনি।