
টলিপাড়ার অনেক নায়িকাই রয়েছেন যাঁরা আমিষ ছেড়ে নিরামিষ খাবারের দিকে ঝুঁকছেন। আগে এই ট্রেন্ড বলিউড হিরোইনদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও এখন এই প্রবণতা টলিপাড়ার নায়িকাদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। টলিপাড়ার অনেক নায়িকাই আমিষ খাবার ছেড়ে নিরামিষ খাবার খাচ্ছেন। সেই তালিকায় মিমি চক্রবর্তী রয়েছেন সবার প্রথমে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল দেবচন্দ্রিমার নামও। টেলিভিশন তথা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে দেবচন্দ্রিমা খুবই পরিচিত নাম। এই বছর থেকেই দেবচন্দ্রিমা আংশিকভাবে আমিষ খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।
একসময় দেবচন্দ্রিমার চিকেন স্যুপ ছিল সবচেয়ে প্রিয় খাবারগুলির মধ্য একটি। আর এখন মাছ, মাংস সামনে দেখলে তাঁর অস্বস্তি হয়। কিন্তু কেন আমিষ খাবার ছাড়লেন দেবচন্দ্রিমা? সম্প্রতি তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে নায়িকার এত বছর পর উপলব্ধি হয়েছে যে পশুহত্যা একেবারেই ঠিক নয়। তাই তিনি আমিষ খাবার ছেড়েছেন। তবে খুব বেশি দিন হয়নি দেবচন্দ্রিমা মাছ-মাংস থেকে দূরে। কয়েক মাস হল তিনি তাঁর খাদ্যাভাস পরিবর্তন করেছেন। তবে এখনও পুরোপুরি আমিষ ছাড়তে পারেননি। মাছ-মাংস ছাড়লেও তিনি ডিম খাওয়া এখনও ছেড়ে উঠতে পারেননি।
দেবচন্দ্রিমার মাছ-মাংস ছাড়ার পিছনে কোনও আধ্যাত্মিক কারণ নেই কিংবা কাউকে অনুকরণ করেও ছেড়েছেন এমনটা নয়। নায়িকা জানিয়েছে, তাঁর এই খাবারগুলো খেতে আর মন চায় না। বেশ কয়েকমাস হল তিনি মাছ-মাংস খাচ্ছেন না। দেবচন্দ্রিমা ছোট থেকেই পাঁঠার মাংস খেতেন না। মাছও যে খুব ভালোবাসতেন এমনটা নয়। তাই এই খাবারগুলো ছেড়ে দিতে খুব কষ্ট হয়েছে এমনটা নয়। আসলে দেবচন্দ্রিমার বাড়িতে দুটো পোষ্য রয়েছে। যাদের খুবই ভালোবাসেন দেবচন্দ্রিমা। ওদের সঙ্গে সময় কাটানোর পর থেকেই বুঝতে পেরেছেন যে পশুহত্যা করাটা ঠিক নয়। যদিও ওদের জন্য বাড়িতে মাংস আসে রোজই।
চিকেন ও মাছ একেবারেই খাচ্ছেন না দেবচন্দ্রিমা। শুধু ডিমটাই খান এখন। ডায়েটে ডিম, পনির, ডাল এই খাবারগুলোই থাকছে। তবে আবার চিকেন বা মাছ খাওয়ার ইচ্ছে জাগতে পারে কিনা, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন নায়িকা। দেবচন্দ্রিমার মতো মিমিও মাছ-মাংস থেকে দূরে। তিনিও নিরামিষ খাবার খেয়ে থাকেন। এই মুহূর্তে দেবচন্দ্রিমা অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের শাড়ির বুটিকও খুলেছেন। সঙ্গে সময় পেলেও ঘুরতে বেড়িয়ে পড়ছেন।