সন্দীপন গর্গ ও জুবিন অসমীয়া গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুর ঘটনায় নযা মোড়। এবার গ্রেফতার অসম পুলিশের DSP সন্দীপন। তিনি আবার গায়কের তুতো ভাইও। সিঙ্গাপুরে মারা গিয়েছিলেন জুবিন। সেই ঘটনাস্থলে ছিলেন সন্দীপনও। এদিকে পুলিশ যাঁদের গ্রেফতার করেছে তাঁদের মধ্যে একজনের দাবি, জুবিনের উপর নাকি বিযপ্রয়োগ করা হয়েছিল।
জুবিনের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে অসম পুলিশের SIT। গায়কের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে কারা গিয়েছিলেন, তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, তাঁরা কেন গিয়েছিলেন সেই সব খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। সন্দীপনও গিয়েছিলেন জুবিনের সঙ্গে। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
সূত্রের খবর, তদন্তে সাহায্য করছেন না সন্দীপন। তিনি অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। কথার অসঙ্গতি ধরা পড়ছে। সেই জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। আজ বুধবার গ্রেফতারের পর তাঁকে কোর্টে তোলা হয়। সরকারের তরফে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়। তবে বিচারক ৭ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান জুবিন গর্গ। সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া না গেলেও জুবিনকে কে বা কারা, কেন সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সব নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তদন্তের জন্য SIT গঠন করেন। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে জুবিনের মৃত্যুর তদন্তে নেমে আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই তালিকায় রয়েছে জুবিনের ব্য়ান্ডের সদস্য জ্যোতি গোস্বামী, ম্যানেজার সিদ্ধার্থ, ইভেন্ট অর্গানাইজার শ্যামকানু মিউজিশিয়ান অমৃতপ্রভ।
এঁদের মধ্যে শেখর জ্যোতি গোস্বামী পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, জুবিনের উপর নাকি বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল। এই অভিযোগ কতটা সত্যি তারও তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে অনেকের দাবি, জুবিনের খিঁচুনির সমস্যা ছিল। তারপরও তাঁকে সারারাত মদ্যপান করানো হয়। সারারাত না ঘুমিয়ে তিনি সকালে সাঁতার কাটতে যান। আর তাতেই বিপত্তি।