Zubeen Garg : জুবিনের মৃত্যুর নেপথ্যে বড়সড় আর্থিক তছরূপ? জোরকদমে তল্লাশি সিআইডির

বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা দুদিন শ্যামকানুর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় CID। সূত্রের দাবি, অভিযুক্তের বাড়ি থেকে একাধিক সন্দেহজনক নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি কোম্পানির নামে একাধিক প্যান কার্ড, বিভিন্ন কোম্পানি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ৩০টি স্ট্যাম্প সিল এবং বেশ কয়েকটি বেনামি সম্পত্তি সম্পর্কিত নথি।

Advertisement
জুবিনের মৃত্যুর নেপথ্যে বড়সড় আর্থিক তছরূপ? জোরকদমে তল্লাশি সিআইডির  Zubeen Garg
হাইলাইটস
  • জুবিনের মৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়
  • ইভেন্ট ম্যানেজারের বাড়ি থেকে উদ্ধার জাল নথি

অসমীয়া গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg Death) মৃত্যুর রহস্য আরও জটিল হল। গায়কের সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ইভেন্ট ম্যানেজার শ্যামকানু মহন্তের বিরুদ্ধে আগেই আওয়াজ তুলেছিলেন ফ্য়ানরা। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধ, জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ সামনে এল। যা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি (CID)।

অভিযানে কী পেল সেই রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা? 

বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা দুদিন শ্যামকানুর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় CID। সূত্রের দাবি, অভিযুক্তের বাড়ি থেকে একাধিক সন্দেহজনক নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি কোম্পানির নামে একাধিক প্যান কার্ড, বিভিন্ন কোম্পানি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ৩০টি স্ট্যাম্প সিল এবং বেশ কয়েকটি বেনামি সম্পত্তি সম্পর্কিত নথি। এগুলো সবই জাল নথি বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান গোয়েন্দাদের। জুবিনের মৃত্যুর সঙ্গে এই সব নথির কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

তল্লাশির পর, সিআইডির সিনিয়র পুলিশ সুপার আসিফ আহমেদ শ্যামকানুর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেন। তল্লাশিতে কী কী মিলেছে তার উল্লেখ রয়েছে সেই অভিযোগপত্রে। মহন্তের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে যেন পৃথক তদন্ত করা হয় সেই আবেদন করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। 

এরপরই সিআইডির তরফে শনিবার রাতে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে এই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। 

FIR-এ কী উল্লেখ? সিআইডির দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, 'অসংখ্য প্যান কার্ড এবং বিপুল সংখ্যক জাল সিলের উপস্থিতি একটি ষড়যন্ত্র এবং সংগঠিত আর্থিক অপরাধের ইঙ্গিত দেয়।' সেখানে আরও উল্লেখ, অসম এবং অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পের আওতায় রাস্তা নির্মাণ সম্পর্কিত অসংখ্য নথি মহন্তের বাসভবন এবং অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। 

কে এই শ্যামকানু? 

শ্যামকানু অসমের প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি অসম পুলিশের প্রাক্তন ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্তের ছোট ভাই। ভাস্কর বর্তমানে অসম রাজ্য তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বড় ভাই ননী গোপাল মহন্ত গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকেই 'নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালের' আয়োজক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন শ্যামকানু। শ্যামকানু আয়োজিত ফেস্টিভ্যালেই যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন৷ তারপরই মারা যান তিনি।  অভিযোগ সিঙ্গাপুরে এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন গোপনে করেছিলেন শ্যামকানু৷ নিজের ব্যবসায়িক মুনাফার জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে জুবিন গর্গকে নিয়ে অনুষ্ঠান করে চলেছেন৷ এই ঘটনার পরই শ্যামকানুকে কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেয় অসম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা খোদ সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা করে দেন, রাজ্য সরকার শ্যামকানু মহন্ত এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও সংস্থাকে অসমের মধ্যে কোনও প্রকারের অনুষ্ঠান বা উৎসব আয়োজনা করা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে। 

POST A COMMENT
Advertisement