কৌতুক অভিনেতা ভারতী সিং-এর (Bharti Singh) বাড়িতে ছোট্ট অতিথি এসেছে। ভারতীর ঘরে এক প্রিয় রাজকুমারের জন্ম হয়েছে। ভারতী তার গর্ভাবস্থার যাত্রার মাধ্যমে একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন। তিনি পুরো ৯ মাস ধরে কাজ করেছেন। প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলার মতো ভারতীর গর্ভাবস্থাও কঠিন ছিল। বিশেষ করে ডেলিভারির দিন।
ভারতী তার ভ্লগে (Vlog) প্রসবের দুই দিন আগে থেকে হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত তার যাত্রা শেয়ার করেছেন। ভারতীর কাছে ডেলিভারির দুদিন আগে থেকেই ব্যথা উঠতে শুরু করে। তিনি জানান, তার পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল। তিনি জানেন না এটা ডেলিভারি ব্যথা নাকি সাধারণ ব্যথা। এই যন্ত্রণার কথা পরিবারকে জানাননি ভারতী।
তিনি বলেন, এ সব জানলে মায়েদের মন খারাপ হয়ে যেত। নার্ভাস হওয়ার কথা বললেন ভারতী। ডেলিভারির আগের দিন শুটিংয়ে যান ভারতী। তিনি জানান তার সামান্য ব্যথা আছে তবে সে তা সহ্য করতে পারবেন। ভারতীর প্রশংসা করতেই হবে যে তিনি ডেলিভারির এক দিন আগে পর্যন্ত কাজ করেছেন।
প্রসবের আগে ভারতী তার সন্তানের জন্য অপেক্ষা করতে পারেননি। তিনি বলেন, তার বাচ্চা খুব জেদি হতে চলেছে। এবং এখন অবশেষে... ডেলিভারির আসে। স্বামীর সঙ্গে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন ভারতী। হাসপাতালে যাওয়ার সময় ভারতীকে বেশ নার্ভাস দেখাচ্ছিল। ভারতীর মতে, এটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় শুটিং।
গাড়িতে বসে ভারতী ও হর্ষকে বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। তারা ছেলে না মেয়ে হবে তা জানতে আগ্রহী। ভারতী তার হাসপাতালের ব্যাগে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জামাকাপড় রেখেছিল। ভারতীকে উত্তেজিত ও নার্ভাস দেখাচ্ছিল।
ভারতী ও হর্ষ তাদের পরিবারকে হাসপাতালে যাওয়ার কথা জানাননি। তার মতে, তারা আতঙ্কিত হবেন। ভারতী লেবার রুমে পৌঁছলে পরিবারের সদস্যদের জানাবেন তিনি। হাসপাতালে যাওয়ার সময় ভারতী খুব ভয় পেয়েছিলেন। তিনি কাঁদছিলেন। নার্ভাস হয়ে যাচ্ছিলেন। ভিডিওতে তিনি বলেছেন – হাসপাতালে যাওয়ার আগে আমি খুব ভয় পাই, এতটাই যে আমি মঞ্চে যাওয়ার সময়ও ভয় পাই না।
ভিডিওতে ভারতীকে বলতে শোনা গেছে একটি শিশুই যথেষ্ট। এ নিয়ে কটাক্ষ করে হর্ষ বলেন, সন্তান ৬টি হলেও তাঁর আপত্তি নেই। ভারতী ও হর্ষ হাসপাতালে পৌঁছান। হাসপাতালের বিছানায় বসে ভারতী খুব নার্ভাস ছিলেন। ভারতী বলেন, আমার অবস্থা খারাপ হচ্ছে। আমি চিৎকার করে কাঁদছি।
ভোর সাড়ে চারটের দিকে ভারতীর জোরে ব্যথা শুরু হয়। ভারতী জানান যে তিনি তার মাকে খুব মিস করছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ভারতী। স্বামী হর্ষ ভারতীর আবেগ ও সাহসকে স্যালুট করেছেন। সারারাত কষ্টে থাকার পর অবশেষে তিনি সন্তানের জন্ম দেন।