গ্রামের হাঁটুর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেছে সেলিব্রেটি অ্যাডভোকেট অরিন্দম রায়। পরিস্থিতির চাপে পড়ে, নোলকের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছে সে। এদিকে নোলকও বিয়েতে অমত থাকা সত্ত্বেও, কার্যত বাধ্য হয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল। শহরে 'উকিলবাবু'-র বাড়ির বেশীভাগ সদস্যরা তাকে মেনে নেয়নি। উল্টে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে তাকে।
সকলের বকুনি খেয়ে নাজেহাল নোলক। সকলে তাকে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করছে বলে, রাগের মাথায় অরিন্দমও বকা দিচ্ছে স্ত্রী নোলককে। তবে পরের মুহূর্তেই তার জন্য অপরাধী ভাবছে নিজেকে। একেবারে দোটানায় পড়েছে সে। কী করবে বুঝে ওঠার আগেই, আবার নতুন কোনও কাণ্ড ঘটাচ্ছে নোলক বহুরূপী।
আরও পড়ুন: 'কৌশিক স্যারের চোখে চোখ রেখে অভিনয় করতে গেলেই নার্ভাস লাগছে!' অকপট 'নোলক'- সোমু
কখনও রায় বাড়ির হেঁসেলে, বাইরের চায়ের দোকান থেকে আনা উনুন জ্বালানো থেকে গোবর দিয়ে বাড়ি নিকানো, আবার কখনও মধ্যরাতে মুখোশ পরে নিজের স্বামীকেই চোর ভাবা...ইত্যাদি নানা কাণ্ড করে চলেছে সরল নোলকসেশুধু তাই না, অজান্তে, বাথরুমের গিজারের জলে হাত পুড়িয়েছে সে। বুড়ি পিসি ও অরিন্দম দু'জনেই তার হাতে মলম লাগিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোন সিনেমা হলে ক'টি বাংলা ছবি? ৩ বছরের রিপোর্ট চায় রাজ্য
কিন্তু তবুও নোলকের যত রাগ সেই গরম জলের কলের ওপর। অরিন্দম তাকে শিখিয়ে দিতে চায় গিজারের ব্যবহার। আর ঠিক সেই সময়ই শাওয়ারের কল ভুলবশত খুলে দেয় নোলক। ব্যস, ভিজে স্নান অরিন্দম! বুঝেই উঠছে পারছে না এবার কী করবে সে। নোলকই যত্ন করে মুছিয়ে দেয় তার উকিলবাবুর মাথা।
নোলকের মিষ্টি ভুলে, নাজেহাল অরিন্দম। তবে সে রাগও করতে পারছে না। কারণ আর কেউ না জানলেও, সে জানে এই ঘটনায় নোলকের কোনও হাত ছিল না। কীভাবে আরও কাছাকাছি আসবে অরিন্দম -নোলক? সমাজে কীভাবে মেনে নেবে, তাদের এই অসমবয়সী প্রেম- দাম্পত্য? ধীরে ধীরে জানা যাবে 'গোধূলি আলাপ' (Godhuli Alap)-র গল্পে।