স্টার জলসায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক 'গোধূলি আলাপ' (Godhuli Alap)। এই মেগার মাধ্যমেই দীর্ঘ ১২ বছর পর, ছোট পর্দায় কামব্যাক করছেন অভিনেতা কৌশিক সেন (Kaushik Sen)। তিনি জুটি বেঁধেছেন নবাগতা সোমু সরকারের (Somu Sarkar) সঙ্গে। পর্দায় ফুটে উঠবে এক অসমবয়সী প্রেমের গল্প। মাঝবয়সী অ্যাডভোকেট অরিন্দম রায় আর বহুরূপী নোলক ভাগ্যের পরিহাসে সাত পাকে বাঁধা পড়বে। দু'জনের বয়সের এত তফাৎ কি মেনে নেবে এই সমাজ? সেইভাবেই গল্প এগোবে। নতুন কাজ নিয়ে আজতক বাংলায় অকপট সোমু।
আজতক বাংলা: 'গোধূলি আলাপ' শুরু হয়েছে, কেমন ফিডব্যাক পাচ্ছেন পরিবারের থেকে?
সোমু: সকলে ভালই বলছেন।
প্রশ্ন: সম্প্রচার শুরুর পর ভয় কেটেছে কিছুটা?
সোমু: এর মধ্যে আমার বাবার (ধারাবাহিকের) সঙ্গে দৃশ্য ছিল অনেকটা। সেটায় কোনও ভয় নেই আমার। বাকিদের সঙ্গেও কাজ করতে করতে ভয় কেটে যাবে আশা করি।
প্রশ্ন: তাহলে আসল ভয় কি কৌশিক সেনের সঙ্গে ফ্রেম শেয়ার করতে গিয়ে পাচ্ছেন?
সোমু: হ্যাঁ। ওঁর চোখে চোখ রেখে ডায়লগ মুখস্থ করে বলা (হেসে)...। এখনও মেনে নিতে সমস্যা হচ্ছে যে, এটা সত্যি।
প্রশ্ন: বন্ধুরা 'নোলক' নামে ডাকা শুরু করেছেন?
সোমু: না এখনও সেরকম হয়নি। আমি শুনেছি, এরকম নাকি হয়। তবে আজ অন্য একজন ফোন করেই জিজ্ঞেস করছিলেন 'নোলক বলছ'? সেটা শুনে এত ভাল লেগেছে যে, আমার নামটা সোমু থেকে আসতে আসতে নোলক হয়ে উঠছে।
প্রশ্ন: ছোট পর্দায় প্রথম মুখ্য চরিত্রে অভিনয়! আলাদা হোমওয়ার্ক করতে হয়েছে?
সোমু: হোমওয়ার্ক বলতে, সোমু খুব শান্ত শিষ্ট একজন মেয়ে, যে খুব তাড়াতাড়ি সকলের সঙ্গে মিশতে পারে না। অন্যদিকে নোলক একেবারে বিপরীত। আমায় নিজেকে বোঝাতে হয়েছে, নোলক কীভাবে কথাবার্তা বলবে, হাঁটা-চলা করবে ইত্যাদি। আরও নোলক যেহেতু গ্রামের মেয়ে। তাই সেরকম ভাষা আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি। এবার বাকিটা দর্শকদের ওপর।
প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রির এতজন প্রবীণ শিল্পীরা রয়েছেন, কারও কাছে বকা খেতে হয়েছে এখনও?
সোমু: সত্যি কথা বলতে আমি এখনও বকা খাইনি। তবে ভবিষ্যতে খাবো এটা পাক্কা বলতে পারি ( জোড়ে হেসে)।
প্রশ্ন: আগে অভিনয় করলেও, এটা বড় ব্রেক আপনার। ২০২২ সাল কি শুভ?
সোমু: অবশ্যই! বন্ধুরা এসে বলছে 'ভাই তোর তো ভাগ্য খুলে গেল...'। প্রথমত অভিনয় করার এত বড় একটা জায়গা, সেই সঙ্গে এতজন গুণী শিল্পীদের সঙ্গে কাজ... এরকম প্ল্যাটফর্মে খাটনি থাকলেও, খুব সহজে সফল হওয়ার সুযোগও থাকে। সেই সঙ্গে রাজ চক্রবর্তীর মতো ইন্ডাস্ট্রির এত বড় একজনের প্রযোজনায় কাজ করা, এটা অবশ্যই আমার সৌভাগ্য।
প্রশ্ন: রাজ চক্রবর্তীর মুখোমুখি হয়েছেন?
সোমু: হ্যাঁ। শ্যুটের প্রথম দিন দেখা হয়েছিল। সত্যি কথা বলছি, ওঁকে দেখে আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলাম। আগে ভেবেছিলাম দেখা হলে অনেক কিছু বলব। কিন্তু সামনেই আসতেই আমি একেবারে বাক্রুদ্ধ।
প্রশ্ন: বর্তমানে তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডে গা ভাসাতে হয়। আপনাকে খুব একটা সক্রিয় থাকতে দেখা যায় না এখনও...
সোমু: সোমু সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে খুব একটা ওয়াকিবহাল নয়। নিজের ব্যাপারে সব আপডেট ওখানে দিতে, আমার একদম ভাল লাগে না। তবে এখন যে কাজটা করছি, মনে হচ্ছে এটা আমিও না করলে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হবে। আমিও চেষ্টা শুরু করেছি আরও সক্রিয় থাকার।
প্রশ্ন: আপানি দক্ষিণ দিনাজপুরের মেয়ে। কর্মসূত্রে একাই থাকছেন পরিবার ছেড়ে?
সোমু: হ্যাঁ, গত প্রায় চার বছর ধরে আমি এখানে একাই থাকছি। পরে কাজের চাপ আরও বাড়লে মাঝে মধ্যে মা আসবে। এই প্ল্যানিং আছে আপাতত।