গত মে মাসে নতুন জীবনে পা রেখেছেন কৌশাম্বী চক্রবর্তী। অভিনেতা আদৃত রায়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন টেলি নায়িকা। বিয়ের দু'মাসের মধ্যেই চক্রবর্তী পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। মাতৃবিয়োগ হয়েছে কৌশাম্বীর। সেসময় মায়ের উদ্দেশ্যে একটি আবেগঘন চিঠি লেখেন অভিনেত্রী। মাকে হারানোর পরে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন আদৃত-পত্নী। কাজে ফিরলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে সক্রিয় ছিলেন না। তবে দীর্ঘদিন পরে বৃহস্পতিবার নিজের একটি ছবি শেয়ার করেন কৌশাম্বী।
আলো-আঁধারিতে ভরা ঘরে সোফায় গা এলিয়ে বসে আছেন কৌশাম্বি। পরনে রিপড জিন্স আর টপ। মুখের হালকা হাসির পিছনে যেন রয়েছে বিষন্নতার ছাপ। ছবিটি নেটমাধ্যমে শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, "তুমি কতটা শক্তিশালী ততক্ষণ অবধি বুঝতে পারবে না , যতক্ষণ না শক্তিশালী হওয়ার ছাড়া আর কোনও উপায়ই থাকে...।" টেলি অভিনেত্রীর এই ছবিটি দেখে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছেন বহু অনুগামী।
এদিকে ফেসবুকে এই ছবির ক্যাপশনে মজা করে কমেন্ট করেছেন আদৃত। অভিনেতা লিখেছেন, "সবসময় ছবিতে সৌজন্য দেওয়া উচিত। তন্বী তোর কী মত?" এর জবাবে তন্বী লেখেন, "এটা আমারও বক্তব্য। বলে বলে ক্রেডিট নেব না। হোয়াটসঅ্যাপে যা বলার বলে দিয়েছি…"। এই কমেন্ট দেখে বোঝাই যাচ্ছে, এর মধ্যে দেখা করেছিলেন 'মিথাই'-র দুই অভিনেত্রী। সেখানেই ফটোসেশন করেন।
গত ২৭ জুন হঠাৎই না ফেরার দেশে পাড়ি দেন কৌশাম্বী চক্রবর্তীর মা। সোশ্যাল পোস্টে খবরটি জানিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, "ও মা চলে গেলে আমাদের ছেড়ে? আমি কী করব মা এবার? কে বুঝবে মা তোমার মতো করে আমায়? কার কাছে আবদার করব, কার কাছে সব গল্প করব গো? কার সাথে ঝগড়া করব? সব করেছো সবার জন্য, নিজের জন্য কখনও ভাবোনি। এবার রিয়ারমেন্টে তো কত প্ল্যান আছে বললে! টিউশন করাবে, আবৃত্তি শেখাবে, চুলে কালার করাবে মাসে মাসে! কই কিছু তো করলে না..."
কৌশাম্বী আরও লেখেন, "কাউকে এক ফোঁটাও সময় দিলে না মা! তবে যেখানে থাকো ভাল থাকো, আর যা যা ইচ্ছে ছিল সব পূর করো মা! খুব ভাল থাকো। আমরা সবাই তোমায় খুব মিস করব, আর এটাও জানব তুমি সব সময় আছো আমাদের সাথে...। লভ ইউ মাম্মা। ইউ আর অ্যা ট্রু ফাইটার...।"
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ জল্পনার অবসান হয়ে গত ৯ মে গাঁটছড়া বেঁধেছেন আদৃত রায় ও কৌশাম্বী চক্রবর্তীর। নেটমাধ্যমে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে বিয়ের নানা অনুষ্ঠানের মুহূর্ত। হাওড়ার একটি নামী ব্য়াঙ্কোয়েটে বসেছিল জুটির বিয়ের আসর। সাজে ছিল সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। কনে নিজের জন্যে এদিন বেছে নিয়েছিলেন লাল রঙের বেনারসি। সঙ্গে রয়েছে সোনালী মুকুট, কপালে ছোট চন্দনের টিপ, গা ভর্তি সোনার গয়না। অন্যদিকে বর আদৃত পরেছিলেন ধুতি ও তসরের পাঞ্জাবি। বিয়ে- রিসেপশন দু'দিনই কার্যত বসেছিল চাঁদের হাট। হাজির ছিলেন 'মিঠাই' ও 'ফুলকি' ধারাবাহিকের সদস্যরা।