মুম্বইয়ের বিলাসবহুল হোটেলে মধুচক্র (Sex Racket) চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ৩২ বছর বয়সি মডেল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, হিন্দি টেলিভিশনের বেশ কিছু পরিচিত অভিনেত্রী এবং মডেলদের নিয়ে এই মধুচক্র চালাচ্ছিলেন। প্রত্যেকের সঙ্গে আর্থিক চুক্তিও হয়। এ নিয়ে ২ মাসের মধ্যে একাধিক এমন মধুচক্রের সন্ধান পেল মুম্বই পুলিশে ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Mumbai Police Crime Branch) যেখানে টিভির জনপ্রিয় মুখরা জড়িত রয়েছেন।
গত বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ছদ্মবেশে এক পুলিশ কর্মী সেই হোটেলে যান। খদ্দের সেজেই তিনি ওই মডেলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। যখন সেই মডেল ১ লক্ষ টাকা নগদ দাবি করে সে সময় তাঁকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই হোটেল থেকে এক টেলিভিশন অভিনেত্রী এবং মডেলকে উদ্ধার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, এই অভিনেত্রী এবং মডেল একাধিক নজপ্রিয় ধারাবাহিক এবং বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছেন। যার মধ্যে একটি সাবানে বিজ্ঞাপন খুব বিখ্যাত হয়। দেহ ব্যবসায় কাজের জন্য ওই অভিনেত্রীকে ৪ লক্ষ টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করায় গ্রেফতার হওয়া মডেল।
বহু দিন ধরেই মধুচক্রে একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীদের যোগ থাকার কথা গোপন সূত্র মারফৎ জানতে পারে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হয় পুলিশের তরফ থেকে। অবশেষে সেই মডেলের সঙ্গে কথা হয়। সেই মতো নির্দিষ্ট দিনে ওই হোটেলে ছদ্মবেশে যায় ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক অফিসার। তার পরই প্রকাশ্যে আসে সব কিছু। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মধুচক্র নিয়ে আরও তথ্য পাওয়ার জন্য তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, এর সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগাযোগ থাকতে পারে।
গত জুন মাসে মুম্বইয়ের কাছেই একটি ফ্ল্যাটে মধুচক্রের চাঁইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে একাধিক মডেল-অভিনেত্রীকে আটক করা হয়। এঁরা জানিয়েছিলেন, লক ডাউনের কারণে রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থ সংকটে পড়েছিলেন তাঁরা। অসহায়তার সুযোগ নিয়ে দেহ ব্যবসায় নামানো হয় তাঁদের। টাকার বিনিময়ে বিলাসবহুল হোটেলে নির্দিষ্ট ঘরে পৌঁছে দেওয়া হত তাঁদের। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই একের পর এক তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।