মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। আহত অন্তত ৬০। সেসময় কুম্ভতেই ছিলেন টলি অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। বাবা ও প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে প্রয়াগরাজে গিয়েছেন নায়িকা। ১৯ ঘণ্টার সড়কপথে প্রয়াগরাজে পৌঁছেছেন তাঁরা।
কুম্ভে হোটেল এবং ক্যাম্পে থাকার কোনও জায়গা নেই। তবে স্থানীয় এক পরিচিতের সূত্রে রাত্রে থাকার ব্যবস্থা করে ফেলেন শ্রীমা। মৌনী অমাবস্যার পুণ্যতিথিতে মহাকুম্ভে যোগ দিয়ে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর পবিত্র সঙ্গমস্থলে আস্থার ডুব দেবেন বলে পরিকল্পনা করেছিলেন শ্রীমা। তবে এদিন মাঝরাতে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে যাওয়ায়, আর ত্রিবেণী সঙ্গম অবধি পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। তবে ভোর চারটে নাগাদ সঙ্গমস্থলের বিপরীতে আড়িল ঘাটে পুণ্যস্নান করেন অভিনেত্রী।
সংবাদমাধ্যমকে টেলি নায়িকা বলেন, "এ রকম ভিড় আমি আগে দেখিনি। প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার আগে থেকে গাড়ি এগোতে দেওয়া হচ্ছিল না। তারপর হেঁটে বা অন্য কোনও গাড়ি ধরে ত্রিবেণী সঙ্গমে পৌঁছতে হবে। আগামী দু'দিন নিরাপত্তার কারণে এখানে ফেরিঘাটও বন্ধ। ফলে আমরা আর শেষ পর্যন্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে যাইনি।"
নিরাপত্তা এবং প্রশাসনের তৎপরতা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, "একসঙ্গে এত পুলিশ আমি কখনও দেখিনি। দফায় দফায় তাঁরা টহল দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে টানা মাইকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঘোষণা করা হচ্ছে।" এমনকী তিনি শেয়ার করেন, স্নান সেরে ওঠার পর তাঁর চোখের সামনেই এক পুণ্যার্থী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ভিড় জমতেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেয় স্থানীয় পুলিশ।
স্নানের পর সোমেশ্বর বাবার মন্দির দর্শন করেন তাঁরা। বুধবার প্রয়াগরাজ থেকে বারাণসী গিয়েছেন শ্রীমা। কাশী বিশ্বনাথ দর্শন করেই কলকাতায় ফিরবেন। কারণ, শুক্রবার তাঁর নতুন ছবি 'অমরসঙ্গী' মুক্তি পাচ্ছে। পুণ্যস্নান সেরে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের আশীর্বাদ নিয়ে ছবির প্রিমিয়ারে হাজির হবেন শ্রীমা।