৬ অক্টোবর : করোনায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতার বেলেভিউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
১০ অক্টোবর: তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইটিইউ-তে স্থানান্তরিত করে প্রথম দফায় প্লাজমা থেরাপি করা হয় তাঁর।
১১ অক্টোবর: দ্বিতীয় দফায় প্লাজমা থেরাপি করা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হওয়ার পর। তারপরের দিন ১২ অক্টোবর তাঁর মস্তিষ্কের এমআরআই করা হয়।
১৩ অক্টোবর: বর্ষিয়ান অভিনেতাকে বাইপাপ ভেন্টিলেশন থেকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
১৬ অক্টোবর : আগের থেকে কিছুটা ভাল ছিলেন ফেলুদা। তার সঙ্গে তাঁকে দেওয়া হচ্ছিল মিউজিক থেরাপি। মূলত রবীন্দ্রসঙ্গীতই পছন্দ তাঁর। সেইজন্যেই শোনানো হচ্ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং তাঁর ছবির কিছু গান।
১৯ অক্টোবর : আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছিছিলেন তিনি। বেডে বসানো হয়েছিল তাঁকে। ভিডিও কলে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন মেয়ে পৌলোমী বসুর সঙ্গেও। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন ফিজিওথেরাপি শুরু হয়েছে তাঁর এবং তাকে অল্প করে হাঁটানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে।
২০ অক্টোবর: ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছিলেন, কিন্তু হঠাৎই আবার অবনতি হতে শুরু করে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা। ফের প্রকট হয় তাঁর স্নায়ুর সমস্যা। চিকিৎসকেরা জানান, বর্ষীয়ান অভিনেতার কোভিড এনসেফালোপ্যাথি সবচেয়ে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে তাঁদের।
২৪ অক্টোবর: হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় পুরোপুরি সচেতন অবস্থায় নেই অভিনেতা। কখনো কখনো চিকিৎসকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিরক্ত এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন তিনি। এর আগে ইমিউনোগ্লোবিউলিন ও স্টেরয়েড চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে তা যথেষ্ট নয়, তাই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে সুস্থ করে তুলতে ফের 'প্লাজমাফেরেসিস' পদ্ধতি অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।
২৫ অক্টোবর: সৌমিত্র-র চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল টিমের প্রধান ডাঃ অরিন্দম কর জানান, "গত ৭২ ঘন্টা তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছে। ঠিক কোনদিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তার সঙ্গে প্লেটলেট কাউন্ট কমে যাচ্ছে এবং রক্তে ইউরিয়া ও সোডিয়াম লেভেল বেড়ে গিয়েছে তাঁর"।
২৭ অক্টোবর: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। এনন্ডোট্র্যাকিয়াল ইনটিউবেশন অর্থাৎ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। রক্তে ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিয়া বৃদ্ধির সঙ্গে ফুসফুসের সংক্রমণ ও রয়েছে তাঁর। সেইসঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের হেরফের রয়েছে। রক্তে ক্রমশ কমছে প্লেটলেট কাউন্ট। মস্তিষ্কের গ্লাসগো কোমা স্কেলের সূচক তাঁর ৮-এ নেমে গিয়েছে। অন্যদিকে শুরু হয়েছে তার রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি।