টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে ও মডেল -অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের মতো শহরে ফের উদ্ধার আরেক অভিনেত্রী - মডেলের ঝুলন্ত দেহ। পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়, অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ।
শোনা যাচ্ছে, বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। বিদিশার মৃত্যুর পর থেকেই ডিপ্রেশনে ছিলেন মঞ্জুষা, এমনটাই দাবি পরিবারের। মঞ্জুষার মা জানান, হতাশার জেরেই আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। এখনও কোনও সুইসাইড নোট না মেলায়, এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মঞ্জুষার মা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "ওঁর বান্ধবী বিদিশা মারা যাওয়ার পর সারা রাত ওই ভিডিও দেখেছে। খুব ভাল বন্ধু ছিল ওঁরা। আমায় বলত, বিদিশা এত হাসিখুশি মেয়ে ছিল, ও যদি মরতে পারে, আমি কেন মরতে পারব না। আমিও বিদিশার মতো সুইসাইড করব।"
তিনি যোগ করেন, "আমি ওকে জিজ্ঞেস করি তোর কিসের এত দুঃখ। আমায় তখন বলে, তুমি- তোমার জামাই সবাই ভালোবাসে। কিন্তু আমার মরতে ইচ্ছে করে...আমি তখন বলি মরা পাপ। তখন বলত, মরার পর যা খুশি হোক, মরে তো গেলাম।"
মঞ্জুষার মা আরও বলেন, "কালও শ্যুটিং করতে গিয়েছিল। ব্রাইডাল শ্যুট ছিল...ফিরে বলল, কাল তোমার বাড়িতেও বিদিশার বাড়ির মতো সাংবাদিকরা আসবে...। ফিরে এসে স্নান করল, আমি খেতে বললাম। খাওয়া -দাওয়া ঠিক করে করত না। এমনিই রোগা ছিল, আরও রোগা হতে চাইত।"
তাঁর কথায়, " আমার জামাই ওঁকে বকতো, কিন্তু কখনও অশান্তি করত না ওঁর সঙ্গে। বলত অডিশন দিয়েও কোনও ভাল সিরিয়ালে কাজ পাচ্ছি না, চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের বলত, তোমাদের আর বিরক্ত করব না, সুইসাইড করে চলে যাবো। জামাই খুব ভাল ছিল, রান্নাও করাতো না ওঁকে দিয়ে। কোনও সুইসাইড নোটও লিখে যায়নি। আমরা বলতাম, তুই সংসার কর, ভাল কাজ পেলে তখন করবি।"
এদিকে মঞ্জুষার পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর আগেও একবার বাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেসময় তাঁর স্বামী তাঁকে বাঁচায়। এছাড়াও প্রায়ই তিনি আত্মহত্যা বা মরে যাওয়ার কথা বলতেন বলে জানান মডেল -অভিনেত্রীর পারিবারের লোকেরা।