সাধারণত অভিনেত্রীদের মধ্যে ক্যাট ফাইট দেখা যায়, তা থেকে শতহস্ত দূরে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) এবং নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। দুজন দুজনকে 'বোনুয়া' (Bonua) বলে সম্বোধন করেন, একথা এখন আর কারও অজানা না।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্যক্তিগত জীবন, তাঁরা একে অপরকে বোনের মতো ভালোবাসেন। টলিউডে এক দশকের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। তবে দীর্ঘদিন তাঁদের একসঙ্গে কোনও ছবি প্রকাশ্যে আসেনি।
এমনকি ২০১৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হওয়ার জার্নি একসঙ্গেই শুরু হয়েছে তাঁদের। সেই সময়ে ওয়েস্টার্ন পোষাক পরে পার্লামেন্টের সামনে ছবি তোলায় ট্রোলিংয়ের স্বীকার হতে হয়েছিল তাঁদের।
নুসরতের জীবনে এখন চলছে বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ সময়। মা হতে চলেছেন তিনি। যে কোনও মুহূর্তে আসবে সুখবর। কিন্তু এই সময় প্রকাশ্যে তাঁর পাশে দেখা যায়নি মিমিকে। এমনকি এই প্রসঙ্গে তাঁকে কিছু জিজ্ঞেস করলে, সেই কথা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
তবে 'বোনুয়া' -র জীবনের এত গুরুত্বপূর্ণ সময় তাঁর পাশে নেই মিমি। তাহলে কী তাঁদের মধ্যে সত্যিই দূরত্ব তৈরি হয়েছে?
আসলে তিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন ওড়িশায়। তাঁর পরবর্তী ছবি 'খেলা যখন' -র আউটডোর শ্যুটিংয়ে। এই ছবিটির পরিচালনা করছেন অরিন্দম শীল। শ্যুটিং ফ্লোর থেকে ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।
শেষ ছবি 'এসওএস কলকাতা' -তে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল মিমি ও নুসরতকে। ছবিতে এছাড়াও ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি নিয়ে হয়েছে নানা বিতর্ক। কারণ এই ছবির পর থেকে সম্পর্কে জড়ান 'যশরত'।
কিছুদিন আগে কসবার ভুয়ো কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মিমি। সেখানে তাঁকে নুসরত নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু জবাব দিতে অস্বীকার করেন মিমি। সংসদে নুসরতের বিয়ে নিয়ে মিথ্যে বলা নিয়ে মিমি-র জবাব ছিল, 'আমি আজ একটা আলাদা উদ্যোগে সামিল হয়েছি। আমি নিজে একজন অভিনেত্রী। বিগত এক দশক ধরে আমার জীবন খোলা বইয়ের মতো। তবে আমি মিডিয়াকে সম্মান করি, যারা আমার পাবলিক এবং ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান দিয়েছে।" খুব সাবধানেই নুসরতের বিষয়টি এড়িয়ে যান মিমি।
অন্য একটি সংবাদমাধ্যমকে মিমি সম্প্রতি এবিষয়ে বলেছেন, "আমার আর নুসরতের সম্পর্ক ঠিক কী রকম, তা আমি প্রকাশ্যে কিংবা কোনও সংবাদমাধ্যমকে বলতে চাই না।"