দীর্ঘদিনের জল্পনার পর রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
মঞ্চে ডিস্কো ডান্সারের কথায় শোনা গেল, "আমি জানি আপনারা সকলে চাইছেন আমার মুখে,'মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে' ডায়লগ শোনার জন্যে। তবে আমি যখন ক্যাম্পেইন করবো আপনারা এই কথাটা মনে রাখবেন। এত বড় বড় লিডাররা এখানে রয়েছেন। তাঁদের সকলের কথা মিলিয়ে আমি একটাই কথা বলবো, আপনারা মনে রাখবেন " আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়া নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি। আমি মিঠুন চক্রবর্তী। আমি যা বলি, আমি তাই করি!"
এদিনের মিঠুন চক্রবর্তীর সক্রিয় রাজনীতিতে আসা যেন আরও একবার উস্কে দিল ১৫ বছর আগে তাঁর অভিনীত ছবির পুরানো স্মৃতি।
২০০৬ সালে স্বপন সাহা পরিচালিত ছবি 'অভিমন্যু'-তে তাঁর এই সংলাপ খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। এই ছবিতে অভিমন্যু রায় চরিত্রে দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে।
এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন দেবশ্রী রায়। এছাড়াও ছিলেন তাপস পাল, রজতাভ দত্ত,যিশু সেনগুপ্ত, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, দুলাল লাহিড়ী, লকেট চ্যাটার্জী, ঐন্দ্রিলা সেন সহ আরও অনেকে।
ছবিতে দুর্জয় রায় ওরফে রজতাভ দত্ত একজন সন্ত্রাসবাদী নেতা, যে সীমানার অপারের নেতা কামাল পাশার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। দুর্জয় রায়ের অন্যতম কমান্ডার রাঘব রায় ধরা পড়েন ইন্সপেক্টর রাজ সিনহার (তাপস পাল) হাতে। এনকাউন্টারে অনেক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়।
প্রতিশোধ নিতে দুর্জয় রায়ের দলের সদস্যরা রাজ সিনহার পরিবারের সমস্ত সদস্যকে হত্যা করেন। তবে নন্দিনী - রাজের শ্যালিকা এবং তাঁর মেয়ে রিমিকে বাদ বেঁচে যান সেই ঘটনায়। রাজ খবর পান যে সন্ত্রাসীরা আবারও তার পরিবারকে আক্রমণ করতে পারে। এদিকে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর দীর্ঘ-হারিয়ে যাওয়া বন্ধু অভিমন্যু নাগ (মিঠুন) এখনও বেঁচে আছেন।
অভিমন্যু অপরাধ শাখার অত্যন্ত দক্ষ কর্মী। কিন্তু একদল সন্ত্রাসবাদীর উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ায়, তাঁকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগও ওঠে।
অভিমন্যুকে নন্দিনী এবং রিমির দেহরক্ষী হিসাবে নিয়োগ করা হয়। এরপর রিমি অপহরণ করা হয় এবং অভিমন্যুও আহত হন।
এরপর অভিমন্যু রাঘব ও দুর্জয়কেও মেরে ফেলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে অভিমন্যুর মৃত্যু হয় ।
স্বপন সাহা পরিচালিত 'ফাটাকেষ্ট' সিরিজের ছবিগুলি এখনও মনে রেখেছেন সকলে। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'এমএলএ ফাটাকেষ্ট' এবং তার পরের বছর ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট' ছবিগুলিও সুপারহিট হয়েছিল। এমনকি 'মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে'-ছবির এই সংলাপ জনপ্রিয় হয়।