উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর থেকে টালিগঞ্জের অন্যতম সেরা পরিচালকের সফর সহজ ছিল না। টেলিভিশনে বিভিন্ন শো পরিচালনা করতেন। সেখান থেকেই বড় পর্দায় আসেন রাজ। প্রথম ছবি ২০০৮ সালে দুই নতুন অভিনেতা রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা-কে নিয়ে তৈরি করেন চিরদিনই তুমি যে আমার। সে বছরের অন্যতম সেরা হিট ছবি ছিল।
টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন হিসাবে পরিচিত রাজ-কে বহুবার তৃণমূলের দলীয় অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা গিয়েছে।
তবে সরাসরি রাজনীতিতে কখনও দেখা যায়নি রাজকে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ-কে অন্যতম কঠিন আসন ব্যারাকপুরের প্রার্থী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা বুঝিয়েছেন, তিনি রাজের উপর ভরসা করছেন।
ব্যারাকপুরকে কঠিন আসন বলা হচ্ছে, তার কারণ এখানকার সাংসদ অর্জুন সিং এবং বিদায়ী বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত দু'জনেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
গোটা দেশে পরিবর্তনের আবহে ব্যারাকপুরকে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলা হচ্ছে। তাই সেখান থেকে ভোটে লড়া খুব একটা সহজ হবে না।
তবে নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী রাজ। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন তিনি।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী শিবির বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তাই আগাম প্রচারে জনমানসে জায়গা পাকা করতে চাইছেন টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত পরিচালক।
রাজের প্রচার ঘিরে জনসাধারণের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রিয় সেলিব্রিটিকে দেখে কেউ বাড়িয়ে দিয়েছেন অটোগ্রাফের খাতা। কেউ রেখেছেন সেলফির আবদার। হাসিমুখে রাজকে সেই আবদার মেটাতে দেখা গিয়েছে।