গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন টলিউড অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল জল্পনা এবং তাতেই শীলমোহর পড়েছে সেদিন বিকালে।
বিজেপির মিডিয়া সেন্টারে হাজির হয়েছিলেন যশ। কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় ও রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের উপস্থিতিতে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বিজেপির পতাকা।
রবিবার অর্থাৎ ১৪ মার্চ বিজপি-র দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। চণ্ডীতলা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন যশ।
চন্ডীতলায় তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী মহম্মদ সেলিম এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্বাতি খন্ডকার।
বাংলার পাশাপাশি করেছেন বেশ কয়েকটি হিন্দি সিরিয়ালের কাজ। এছাড়াও নাচের রিয়েলিটি শোতেও দেখা গেছে তাঁকে।
'বোঝেনা সে বোঝেনা', 'আনা ইস দেশ লাডো' ধারাবাহিকে কাজ করে দর্শকদের একেবারে ড্রইং রুমে পৌঁছে গিয়েছিলেন যশ।
'বোঝেনা সে বোঝেনা'- এর অরণ্য সিংহ রায় ওরফে যশ মূলত বাঙালি দর্শকদের কাছে পৌঁছেছেন। এখানে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। জনপ্রিয় হওয়ায় হিন্দিতেও এই সিরিয়াল হয় এরপরে। যার নাম 'ইস পেয়ার কো কেয়া নাম দু'।
২০১৬ সালে বিরসা দাশগুপ্তর পরিচালনায় 'গ্যাংস্টার' ছবির মাধ্যমে রুপোলি পর্দায় পা রাখেন যশ দাশগুপ্ত। এরপর 'ওয়ান', 'টোটাল দাদাগিরি', 'ফিদা', 'মন জানে না'-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
অংশুমান প্রত্যুষের পরিচালনায় 'এসওএস কলকাতা', যশের মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ ছবি। গত বছর অক্টোবর মাসে বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। এখানে এছাড়াও অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, এনা সাহার মতো তারকারা।
সম্প্রতি অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের জল্পনা একেবারে তুঙ্গে। যদিও এ বিষয়ে দুজনের কেউই সরাসরি মুখ খোলেননি এখন অবধি। আবার পুরোপুরি অস্বীকারও করেননি যদিও।