সম্পর্ক বহু দিন আগে থেকেই তলানিতে। প্রায় এক বছর আগে থেকেই অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee) এবং রোশন সিং (Roshan Singh) আলাদা বসবাস করছিলেন। রোশন প্রায় মাস তিনেক আগে বধূ ফেরতের মামলা করেছেন শিয়ালদহ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। মামলার কয়েকটি শুনানিও হয়ে গিয়েছে। যদিও সেই শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না শ্রাবন্তী। ঠিক সে সময় আলিপুর আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করলেন শ্রাবন্তী।
মামলা করার পাশাপাশি রোশনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও করেছেন শ্রাবন্তী। পরিষ্কার করে দিয়েছেন রোশনের সঙ্গে আর সংসার করতে চান না তিনি। ১০ ডিসেম্বর এই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোশন আদালতে শ্রাবন্তীর সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে বধূ ফিরিয়ে আনার মামলা দায়ের করেন মাস খানেক আগে। গত ১৮ জুন সেই মামলা সংক্রান্ত সমন পাঠানো হয় শ্রাবন্তীকে। এবং তিনি তা গ্রহণও করেন। তবে সমন গ্রহণ করেও আদালতে উপস্থিত হননি তিনি। আজতক বাংলার তরফ থেকে শ্রাবন্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রোশনের আইনজীবী শ্যামল মণ্ডল এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, সমন গ্রহণ করে কেন শ্রাবন্তী আদালতে আসেননি তা জানা নেই। তবে এখন লকডাউন চলছে। সে কারণে অন্য একটি দিন তাঁকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শ্রাবন্তীর উপস্থিতি এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মক্কেল রোশন সিংয়ের বিরুদ্ধে যাতে কোনও অভিযোগ না আসে সে কারণেই বধূ ফিরিয়ে আনার মামলা করা হয়েছে। রোশন পুরনো সমস্ত কিছু ভুলে শ্রাবন্তীর সঙ্গে সংসার করতে চান।
তবে নির্দিষ্ট দিনে যদি শ্রাবন্তী উপস্থিত না হন সে ক্ষেত্রে আদালতে এক তরফা শুনানি হবে। তবে শ্রাবন্তীর এই মামলার ফলে বিষয় পরিষ্কার যে তিনি কোনও ভাবেই আর রোশনের সঙ্গে থাকতে চান না। বিচ্ছেদের মামলায় রোশনের সাক্ষ্য এবং বয়ান এই মামলাকে কোনও নতুন মোড় দেয় কিনা তা সময় বলবে। তবে ছুটি কাটিয়ে এসে শ্রাবন্তী এ বার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন।