'অসতো মা সদগময়'! মার্চেই ফ্লোরে প্রসেনজিৎ-জয়ার নতুন রসায়ন

অতিমারী পরিস্থিতিকে সামনে রেখে ফের জুটি বাঁধছেন প্রসেনজিৎ-জয়া। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর পরবর্তী ছবি 'অসতো মা সদগময়'-তে একসঙ্গে দেখা যাবে তাঁদের। এমনকী মার্চেই শুটিং ফ্লোরে আসতে পারে এই ছবি। 

Advertisement
'অসতো মা সদগময়'! মার্চেই ফ্লোরে প্রসেনজিৎ-জয়ার নতুন রয়াসনলকডাউনের প্রেক্ষাপটেই তৈরি হচ্ছে নতুন ছবি।
হাইলাইটস
  • রবিবার-এর পর ফের একসঙ্গে প্রসেনজিৎ-জয়া
  • জুটি বাঁধছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর ছবিতে
  • মার্চ থেকেই শুরু হতে পারে ছবির শুটিং

গত বছর ডিসেম্বরে প্রথমবার একসঙ্গে বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল এই জুটিকে। রবিবার-এ তাদের রসায়নে মুগ্ধ হয়েছিল সিনেপ্রেমীরা। এবার ফের অতিমারী পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুটি বাঁধছেন প্রসেনজিৎ-জয়া। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর পরবর্তী ছবি 'অসতো মা সদগময়'-তে একসঙ্গে দেখা যাবে তাঁদের। এমনকী মার্চেই শুটিং ফ্লোরে আসতে পারে এই ছবি। 

পরিচালকের কথায়, অক্টোবর-নভেম্বরেই শুটিং করার কথা ছিল টিমের। কিন্তু তা পিছিয়ে মার্চ-এপ্রিলে গড়িয়েছে। তিনি বলেন, ''লকডাউনের সময়কালটা গরমে ছিল। আর এখন তো শীত। তাই চেষ্টা করছি গরমকালেই শুটিংটা করার। কারণ শীতের আর গ্রীষ্মের জীবন যাপন তো সম্পূর্ণ আলাদা। সেই সময়কালটা শীতে ধরতে পারব না।'' লকডাউনের প্রেক্ষাপটেই তৈরি হবে এই ছবি। এই সময়টায় জীবনচক্র কীভাবে এগিয়েছে তা নিয়েই গল্প বুনেছেন পরিচালক। 

ছবির নাম ‘অসতো মা সদগময়’। লকডাউনের সময়েই গল্পের ভাবনা মাথায় এসেছে সঙ্গীত পরিচালক ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনে পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। তবে চিত্রনাট্য বিন্যাসের ভার বর্তেছে পদ্মনাভ দাশগুপ্তর উপরেই। পরিচালক বলেন, ''এখন সিনেমা হল বন্ধ। সবকিছু আস্তে আস্তে নর্মালাইজ হলে শুরু করব। একজন ডাক্তারের চরিত্রে রয়েছে প্রসেনজিৎ। যিনি আশার আলো দেখাচ্ছেন ছবিতে। হিন্দু মাইথোলজি ও মহাভারতের ছোঁয়া থাকবে গল্পে।'' 

হাসতে হাসতেই ইন্দ্রদীপের বক্তব্য, ''লকডাউনে বসে বসে কিছু তো করতে হবে। সেভাবেই ছবির গল্প মাথায় এসেছে। বিসমিল্লারও পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি ২০২১ এর শুরুর দিকে দর্শকদের জন্য তৈরি হয়ে যাবে এই ছবি।''  

প্রসঙ্গত, পাঁচ জন চরিত্রকে নিয়ে এগোবে ছবির চিত্রনাট্য। জয়া ও প্রসেনজিৎ ছাড়াও ছবিতে দেখা যাবে রুদ্রনীল ঘোষ ও কাঞ্চন মল্লিককে। ক্যামেরার দায়িত্ব সামলাবেন শুভঙ্কর ভড়। সঙ্গীত পরিচালনার কাজও নিজেই করবেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। 

POST A COMMENT
Advertisement