নুসরত সন্তানসম্ভবা। স্টুডিও পাড়ায় কান পাতলেই এমনটা শোনা যাচ্ছে। নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) মা হওয়ার গুঞ্জন শুক্রবার সকাল থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে টলিপাড়ার অন্দর থেকে শুরু করে নেটমাধ্যমে। নায়িকার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠমহল থেকে শোনা যাচ্ছে 'যশরত' (Yashrat)-র জীবনে আসতে চলেছে নতুন অতিথি। শুধু তাই নয়, এই সুখবর তাঁরা নাকি পেয়েছেন মাস খানেক আগেই। এদিকে এই প্রসঙ্গে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন যশ -নুসরত (Yash Dasgupta) দু'জনেই। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর স্বামী নিখিল (Nikhil Jain) জানান এই ব্যাপারে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই। সেই সঙ্গে তিনি বলেন যদি তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হয়ে থাকেন, তাহলে এই সন্তান তাঁর না। কারণ গত ছয়মাস তাঁরা আলাদা থাকেন ও কার্যত কোনও সম্পর্ক নেই।
সোশাল মিডিয়ায় প্রবল আলোচনার মাঝে এ বার নুসরতকে পরামর্শ দিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। তাঁর মতে, 'দ্বিতীয় বিষময় জীবন থেকে বাঁচতে তাহলে কি আবার আরেকটি বিয়ে করতে হবে?' শনিবার ৫ জুন দীর্ঘ সোশাল পোস্টে তসলিমা লেখেন, 'নুসরতের খবর বেশ চোখে পড়ছে। তিনি প্রেগনেন্ট। তাঁর স্বামী নিখিল এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। দুজন আলাদা থাকছেন ছ'মাস হলো। তবে যশ নামে এক অভিনেতার সঙ্গে অভিনেত্রী নুসরত প্রেম করছেন। সন্তানের পিতা, মানুষ অনুমান করছে, যশ; নিখিল নয়। খবরটি খবর না গুজব জানিনা। তবে এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে নিখিল আর নুসরতের ডিভোর্স হয়ে যাওয়াই কি ভালো নয়? অচল কোনও সম্পর্ক বাদুড়ের মতো ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। এতে দু'পক্ষেরই অস্বস্তি।
যখন নুসরত আর নিখিল বিয়ে করলেন, বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম। ঠিক যেমন আনন্দ পেয়েছিলাম সৃজিত আর মিথিলা যখন বিয়ে করেছিলেন। অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি বলে দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে বিয়ে হলে খুব স্বাভাবিক কারণেই পুলকিত হই। জাত ধর্ম ইত্যাদি দূর করতে হলে ভিন্ন জাত আর ভিন্ন ধর্মের মানুষকে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। এতেই হিংসে আর হানাহানিকে হটানো যাবে। কিন্তু এত চোখ জুড়োনো জুটি যে বেশিদিন সুখে থাকবে না কে জানতো!
সেদিন ব্রাত্যর একটি ছবিতে নুসরতকে দেখলাম। ওটিই নুসরতের প্রথম কোনও ছবি আমার দেখা। মেয়েটি অনেকটা অ্যানজেলিনা জোলির মতো দেখতে, অভিনয়ও করে বেশ চমৎকার। নিশ্চয়ই মেয়েটি স্বনির্ভর। আসলে স্বনির্ভর এবং সচেতন হলে, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান যথেষ্ট থাকলে নিজের সন্তানের অভিভাবক নিজেই হওয়া যায়। নিজের সন্তানকে নিজের পরিচয়েই বড় করা যায়। পুরুষের মুখাপেক্ষী হতে হয় না। আসলে নিখিল এবং যশের মধ্যে কী এমন আর পার্থক্য! পুরুষ তো শেষ পর্যন্ত পুরুষই। এক জনকে ত্যাগ করে আরেক জনকে বিয়ে করলে খুব যে সুখময় হয়ে ওঠে জীবন তা তো নয়। দ্বিতীয় বিষময় জীবন থেকে বাঁচতে তাহলে কি আবার আরেকটি বিয়ে করতে হবে? তাহলে এ রেসের শেষ হবে না, কাংক্ষিত পুরুষের দেখাও মিলবে না। স্বাধীনচেতা নারীর কাংক্ষিত পুরুষ কল্পনায় থাকে, বাস্তবে নয়।'
যদিও নুসরত স্বয়ং এ নিয়ে কী ভাবছেন তার উত্তর মেলেনি।