কোভিডের (Covid 19)চোখ রাঙানিতে ভীত সকলে। দেশে হু হু করে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যু হার। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন টলি পাড়ার বড় ও ছোট পর্দার তারকা থেকে কলা কুশলীরা। এবার সংক্রমণের সেই বাড় বাড়ন্ত রুখতে কঠোর কোভিড বিধি মানার সিদ্ধান্ত ফেডারেশনের। গত বৃহস্পতিবার ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ের পর শুক্রবার প্রযোজকদের সঙ্গে মিটিং এই সিদ্ধান্ত নেওয়া রয়েছে। আগামী ৩ মে-থেকে চালু হবে এই নিয়মগুলি। নয়া নিয়মের খুঁটিনাটি আজতক বাংলা-কে জানালেন ফেডারেশনের (Federation of Cine Technicians & Workers of Eastern India) সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (Swarup Biswas)।
টলি পাড়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের স্বার্থে নতুন কোভিড-১৯ প্রোটোকল তৈরি করেছি করা হয়েছে। স্বরূপ বিশ্বাস জানালেন,"ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটা শ্যুটিং ফ্লোরেই র্যাপিড টেস্ট চালু করা হচ্ছে আমাগী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। সমস্ত শিল্পী এবং টেকনিশিয়ান যারা সক্রিয়ভাবে ফ্লোরে কাজ করছেন তাঁদের প্রত্যেকের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রযোজকেরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। আমরা তাঁদের কাছ থেকে যে সহযোগিতা চেয়েছি, তাঁরা হাত বাড়াবেন বলেছেন।"
আর পড়ুন: "আগেই বুঝেছিল আমি ওদের দলে নেই, তাই টেলি সম্মানেও ডাকেনি!" অকপট জিতু কমল
নবান্নের তরফ থেকে রাজ্য আংশিক লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে শুক্রবার ঠিকই। তবে শ্যুটিং এক্ষুনি বন্ধ হচ্ছে না। এমনটাই জানালেন ফেডারেশন সভাপতি। তিনি বললেন, "এই মুহূর্তে শ্যুটিং বন্ধ করার কোনও প্ল্যান নেই। আমরা হিসেব করে দেখছিলাম যদি ১৫,০০০ লোককে ধরি যারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন এবং তাঁদের পরিবারে যদি ৪ জন করে থাকেন তাহলে প্রায় ৬০,০০০ মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ভেন্ডরসহ আরও অনেকে। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০,০০০- ৭৫,০০০ লোক এর সঙ্গে যুক্ত। ইন্ডাস্ট্রিকে যারা বন্ধ করে দিতে বলছেন, তাঁদের হয়তো অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভাল, তাই জন্য এটা খুব সহজ। একজন নায়িকা শুনলাম বলেছেন যে 'শ্যুটিং বন্ধ করে দিলেই হয়'। তাঁদের হয়তো সত্যিই কোনও অসুবিধা হবে না। কিন্তু এই ১৫-২০ হাজার পরিবারের কথা তাঁরা ভেবেছেন? তাঁদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কখনও?"
আর পড়ুন: দুই তারা, এক 'তারকা-নিয়ন্ত্রক'! টালিগঞ্জে কে আলো ছড়াবেন?
টলি পাড়ার অনেক শিল্পীদের মুখেই শোনা যাচ্ছে, শ্যুটিং ফ্লোরে কোভিড বিধি নিয়ে গাফিলতির কথা! এই প্রসঙ্গে, তাঁর কথায়, "গাফিলতি তো কিছুটা হয়েছেই। তবে সেটা গাফিলতি বলা যায় না। যখন কোভিড আক্রান্তের হার কমেছিল তখন শিথিলতাও হয়েছে। আবার যখন পরিস্থিতি খারাপ হল তাই ৩ তারিখ থেকে কঠোর ভাবে এটি পালন করা হবে। সমস্ত টেকনিশিয়ানদের আমরা ইতিমধ্যে খবর পাঠাচ্ছি। সকলকে মাস্ক, ফেস শিল্ড পরতে হবে, হ্যান্ড ওয়াশ ও স্যানিটাইজ করতে হবে।"