ফেলুদা, ব্যোমকেশ, কিরিটির পর দর্শকরা পেয়েছে একেবারে খাঁটি বাঙালি গোয়েন্দা। নাম একেন্দ্র সেন। অর্ধেক টাক মাথা, ঠোঁটের ওপর পেল্লাই গোঁফ, চেহারা অন্য গোয়েন্দাদের থেকে অনেকটাই আলাদা,ব্যতিক্রমী চরিত্র। মজার ছলে সমাধান করেন একাধিক রহস্য়ের। একেবারে নিপাট ভালোমানুষ যাকে বলে, তবে বুদ্ধি কিন্তু তীক্ষ্ণ। মধ্যবিত্ত বাঙালি ভদ্রলোকের মত বেশবাস করেন যা অনেক সময় অবিন্যস্ত থাকে, নিজে খুব একটা শারীরিক কসরতে বিশ্বাসী নন। ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে বাঙালির বৈঠক ঘরে এখন ঢুকে পড়েছেন একেনবাবু। তবে একেনবাবুকে নিয়ে মানুষ যতটা জানেন ততটা কী বাস্তবের অনির্বাণ চক্রবর্তীকে নিয়ে জানা আছে দর্শকের। এই যেমন একেনবাবুর বিয়ে করা স্ত্রীর নাম খুকু, কিন্তু অনিবার্ণ ভট্টাচার্য কি আদৌও বিয়ে করেছেন?
একেনবাবু জনপ্রিয়তা দিয়েছেন অনির্বাণকে
অনির্বাণ চক্রবর্তী অন্য অনেক কাজ করলেও তাঁকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে একেনবাবু সিরিজ। ২০১৮ সালে শুরু হয় এই সিরিজ। নাম ভূমিকায় অনির্বাণ। গোয়েন্দা হিসেবে একেন্দ্র সেন থুড়ি ‘একেনবাবু’কে অভিনয়ের বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র করে তোলার চ্যালেঞ্জটা ওঁর জন্য তৈরিই ছিল। জনপ্রিয় দুই বাঙালি–ডিটেকটিভ ফেলুদা এবং সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীর ম্যাজিক বাঙালি দর্শকের নয়নে, শ্রবণে, মননে আঁকা হয়ে গিয়েছে বহুকাল আগেই। এমন এক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়েও অনির্বাণ ‘একেনবাবু’কে জনপ্রিয় করে তোলেন। ওয়েব দর্শক দারুণ পছন্দ করেছেন অনির্বাণের ‘একেনবাবু’কে।
আরও পড়ুন: নিখিলের আদরে ধরা দিলেন সৌরসেনী, আর নেই 'রাখঢাক'?
একেনবাবুর বিয়ে হয়েছে
একেনবাবু সিরিজ ও সিনেমায় দর্শকেরা একেন্দ্র সেনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে সেটা জানতে পারেন। কারণ একেনবাবুকে প্রায়ই তাঁর স্ত্রী খুকু ফোন করেন। যদিও এই খুকু চরিত্রটিকে এখনও দেখানো হয়নি। তবে দেখে বোঝা যায় যে একেনবাবু তাঁর স্ত্রীকে বেশ ভয় পান কিন্তু খুকু যেটা বলেন ঠিক তাঁর উল্টোটা করেন একেনবাবু। দর্শকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন কবে একেনবাবুর স্ত্রীকে সামনে নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন: দিতিপ্রিয়া-সুহোত্র হঠাত্ শহরজুড়ে চিঠি বিলি শুরু করলেন
অনির্বাণ চক্রবর্তী বিবাহিত কি
এতো গেল একেনবাবুর কথা। কিন্তু একেনবাবুর চরিত্রে যিনি রয়েছেন সেই অনির্বাণ চক্রবর্তী কি আদৌও বিবাহিত নাকি সিঙ্গল? অভিনেতার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে জানতে আগ্রহী দর্শকরাও। কিছুবছর আগে এক সাক্ষাৎকারে অনির্বাণ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন যে তিনি বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু এখন সব অর্থেই তিনি সিঙ্গল। অর্থাৎ দর্শকদের প্রিয় একেনবাবুর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। তবে তিনি যে আরও একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না সে কথা কখনই বলেননি।
আরও এক সমস্যা রয়েছে একেনবাবুর
এছাড়াও ব্যক্তি অনির্বাণের আরও এক সমস্যা রয়েছে। সেটা হল তাঁর নোংরা দেখলেই সারা শরীরে লাল লাল চাকা দাগ বেরিয়ে যায়। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, এই সমস্যা তাঁর চাকরিজীবন থেকে। কলেজে পড়াতেন যখন, সকালে তাড়াহুড়োতে ফুটপাতের দোকানে খেতে গিয়েও একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওই যে নোংরার মধ্যে রেখে পেঁয়াজ কাটছে... ওমলেটে দেবে... ওই দেখার পর যেই খেলাম, অমনি সারা গায়ে অ্যালার্জি বেরিয়ে গেল।’চিকিৎসকের কাছেও গিয়েছেন অনির্বাণ। কিন্তু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জানান, এই অসুখ মনের। যেই কোনও কিছুতে ঘেন্না পান, তখনই বিদ্রোহ করে ওঠে তাঁর শরীর। এ নিয়েই শুটিং করেন অনির্বাণ। তাঁর সতীর্থরাও জানেন এই মজাদার অসুখের কথা।