
বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো হলেও, নববর্ষের আলাদা গুরুত্ব। মিষ্টিমুখ,কোলাকুলি, হালখাতা,আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, নতুন জামায় সকলে আহ্বান জানান নতুন বছরের। নতুন কিছু শুরু করার জন্য পয়লা বৈশাখকে শুভ বলে মনে করা হয়। নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুনভাবে পথ চলা শুরু করলেন যিশু সেনগুপ্ত ও সৌরভ দাস। বড় ঘোষণা করলেন দুই অভিনেতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই চড়ছিল কৌতূহলের পারদ। অনেকেই আন্দাজ করতে পারছিলেন, একসঙ্গে নতুন কোনও কাজ করছেন যিশু -সৌরভ। কেউ আবার ভাবছিলেন, হয়তো নতুন ছবিতে একসঙ্গে দেখা যাবে তাদের। অবশেষে পয়লা বৈশাখে সব জল্পনার অবসান হল। একসঙ্গে নতুন প্রযোজনা সংস্থা খুলছেন দু'জনে। নতুন প্রযোজনা সংস্থার নাম 'হোয়াই সো সিরিয়াস ফিল্মস' (Why So Serious Films)। এই খবর চাউর হওয়া মাত্রই দারুণ খুশি ও উৎসাহিত দুই অভিনেতার অনুগামীরা। সেই প্রমাণ মিলছে নেটমাধ্যমে চোখ রাখলেই।
সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের বেঙ্গল টাইগার গ্রুপের অধিনায়ক যিশু। এই দলেই খেলেন সৌরভও। ক্রিকেট খেলার মাঠেই দু'জনের বন্ডিং ভাল হয়। এরপরই নতুন প্রোজেক্ট নিয়ে, একসঙ্গে নতুন জার্নি শুরু করার পরিকল্পনা নেন দু'জনে। রয়েছে আরও একটি বড় চমক। এই প্রোডাকশন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছেন পরিচালক মহেশ ভাটও। ছবি থেকে গান, বিনোদনের সমস্ত ফ্লেবার দর্শকেরা উপহার পাবেন এই সংস্থা থেকে।
যিশু জানান, "আমি আর সৌরভ দু'জনে মিলে একটা প্রোডাকশন হাউস খুলেছি৷ সৌরভই প্রস্তাব দেয় আমায়। দুই অভিনেতা এক জায়গায় এলে বিরোধ তৈরি হতে পারে। কোথায় সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেছি বিস্তর। সৌরভ স্পষ্ট জানে ও জীবন থেকে কী চায়। আমাদের লক্ষ্য এক, তবে পদ্ধতি আলাদা। আমাদের প্রিয় চরিত্র ব্যাটম্যানের জোকার। প্রথমে ভেবেছিলাম জোকার বা ও রকম কিছু রাখব। তারপর জোকারের প্রিয় সংলাপ 'হোয়াই সো সিরিয়াস' মাথায় রেখেই এই নামকরণ করা হয়।"
সৌরভ দাসের কথায়, "সব ছবিতে যে আমি বা যিশুদা থাকব, এমন নয়। কনটেন্টের উপর নির্ভর করে কাস্টিং চূড়ান্ত হবে। আমরা চেষ্টা করব নতুনদের কাজ দেওয়ার, নতুনদের সুযোগ দেওয়ার। আমরা সব কিছু তৈরি করতে চাই। ছবি, সিরিজ, মিউজিক ভিডিও সব তৈরি করতে চাই। দর্শকদের ভাল কনটেন্ট উপহার দিতে চাই।"
এই প্রথম বাংলার কোনও প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হলেন মহেশ ভাট। পরিচালক জানান, "যিশু আমার ছেলের মতো। ও কিছু বললে,আমাকে রাজি হতেই হবে। যিশুর মতো অভিনেতা খুব কম আছে। এরকম প্রতিভা কম দেখা যায়। তাই যিশুর কাজে আমি অবশ্যই থাকব৷ এখন তো কলকাতায় যাতায়াত লেগেই থাকবে। কী করতে চলেছে যিশু আর সৌরভ সেটা দর্শকেরা দেখতে পাবেন। ম্যাজিশিয়ানের হ্যাট থেকে কী-কী বেরোয় সেটা দেখার জন্য আপনাদের সকলকে অপেক্ষা করতে হবে।"