টলি বা টেলিপাড়ায় যেমন নতুন সম্পর্ক গড়ছে, তেমন একের পর এক সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। টেলিপাড়ায় হঠাৎ শোনা গিয়েছিল, আরও এক তারকার বিয়ে ভাঙার কথা। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী সুরজিৎ হারির সম্পর্কে ফাটল ধরার খবর কিছুদিন আগে একেবারে 'হট কেকের' মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝেই স্বামীর সঙ্গে কাছাকাছি এলেন অভিনেত্রী। তারকাদের সম্পর্কের সমীকরণ বোঝা সত্যিই খুব কঠিন।
ছোট পর্দা, বড় পর্দা কিংবা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অতি পরিচিত মুখ কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি স্টুডিয়ো পাড়ায় হঠাৎ গুঞ্জন শোনা যায়, সুরজিতের সঙ্গে নাকি দূরত্ব তৈরি হয়েছে অভিনেত্রীর। যদিও এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি দু'জনের কেউই। এমনকী জল্পনাটি সত্যি বলেও মানেননি তাঁরা, তবু চর্চার ইতি নেই। তবে সমালোচকদের মুখে এক প্রকার ছাই ঘষে দিলেন কনীনিকা। স্বামীর সঙ্গে ভ্যাকেশনে গিয়ে সেই ছবি নিজের সোশ্যাল পেজে শেয়ার করলেন তিনি।
ফুরফুরে মেজাজে বরের সঙ্গে 'কোয়ালিটি টাইম'
বরের সঙ্গে এই মুহূর্তে একেবারে ছুটির মেজাজে রয়েছেন কনীনিকা। ডেস্টিনেশন হিসাবে বেছে নিয়েছেন থাইল্যান্ড। তবে সাগর পাড়ের কোনও ছবিতে এখনও অবধি দেখা যায়নি তাঁদের ছেলে- মেয়েকে। বেড়াতে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে ফটোসেশনে মেতেছেন 'আয় তবে সহচরী' অভিনেত্রী। এমনকী স্যুইমিং পুলেও জলকেলিতে মেতেছেন তিনি। নেটমাধ্যমে নিজেই শেয়ার করেছেন স্যুইমওয়্যার পরা সেই বোল্ড ছবি।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কনীনিকা
বিচ্ছেদ নিয়ে সাংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন কনীনিকা। অভিনেত্রী বলেন, অনেক অনুষ্ঠানে বরকে ছাড়াই যাচ্ছেন বলে হয়তো, এই রটনার সূত্রপাত। এখন কোনও ব্যাক্তিকে নিয়ে 'আমার' 'আমার' করার বয়স নেই। বাকি অনেকের মতো বরের সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন না। সব মিলিয়ে হয়তো সেখান থেকে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। তবে তিনি জানান, মেয়ে কিয়াকে নিয়ে বরের সঙ্গে বেড়াতে গেলে, ছবি দেন।
সংসার প্রসঙ্গে কনীনিকা বলেন, "মেয়ে সামলাচ্ছি। গত আড়াই মাস ধরে মা খুবই অসুস্থ। মাকে নিয়ে চিকিৎসার কারণে বাইরেও গিয়েছি। সংসার সামলে যতটা অভিনয় করার করছি। সে দিক থেকে বলতে গেলে, আমার কাছে সংসার আগে। তার পর অভিনয়। সংসার বাদ দিয়ে অভিনয় করতে পারব না।"
পরকিয়া, বিচ্ছেদ ইত্যাদি প্রসঙ্গে নায়িকার উত্তর, "পরকীয়া আইনসিদ্ধ। ফলে, এই নিয়ে কিছু বলার নেই। সুরজিতেরও ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। কেন সারাক্ষণ আমি ওঁকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলব? সব জায়গায় সব সময় আমরা একসঙ্গে যাব, এমনও কথা নেই। সুরজিৎ যার খুশি হোক। ও আমার মেয়ের বাবা। এটুকু বলতে পারি। এটুকুই আমার কাছে যথেষ্ট।"