scorecardresearch
 

Exclusive: "আমি অনেকটা মাকড়সার মতো!" খোলামেলা আড্ডায় কেন বললেন মধুমিতা?

ইতিমধ্যে 'ট্যাংরা ব্লুজ'-র টিজারে একেবারে ভিন্ন লুক ধরা পড়েছে অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের। সামনেই ছবির রিলিজ তাই চলছে প্রচণ্ড ব্যস্ততা। তারই মাঝে আজতক বাংলার সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় নায়িকা।

Advertisement
মধুমিতা সরকার (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক) মধুমিতা সরকার (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)
হাইলাইটস
  • নববর্ষে আসছে পরমব্রত ও মধুমিতার 'ট্যাংরা ব্লুজ'।
  • ছবিতে মুম্বইয়ের এক উঠতি গায়িকা জয়ীর চরিত্রে অভিনয় করছেন মধুমিতা।
  • মুক্তির আগে আজতক বাংলার সঙ্গে আড্ডা দিলেন নায়িকা।

'লাভ আজকাল পরশু', 'চিনি'-র পর এবার 'ট্যাংরা ব্লুজ' (Tangra Blues)-এ অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। ইতিমধ্যে টিজারে একেবারে ভিন্ন লুক ধরা পড়েছে তাঁর। সামনেই ছবির রিলিজ তাই চলছে প্রচণ্ড ব্যস্ততা। তারই মাঝে আজতক বাংলার সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় মধুমিতা।

 প্রশ্ন: সামনেই আপনার তৃতীয় ছবি 'ট্যাংরা ব্লুজ' মুক্তি পাবে। এই সময়ে ঠিক কি রকম অনুভূতি হচ্ছে?

 মধুমিতা: আমার দারুণ লাগছে, আমি এরকম একটা ছবির অংশ যেখানে অভিনয়টা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ, শুধু লুকের নয়। 

 

প্রশ্ন: নিজেকে ১০ -র মধ্যে কত নম্বর দেবেন এই ছবিতে অভিনয় করে?

মধুমিতা:  (হেসে) নিজেকে আমি কোনও নম্বর দিতে চাই না। আমি চাই দর্শকেরাই নম্বর দিক।  

 

প্রশ্ন: পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আপনার প্রথম ছবি এটা। 'ট্যাংরা ব্লুজ'- এ সহ প্রযোজনাও করছেন তিনি। প্রযোজক না অভিনেতা পরমব্রত, কে বেশী ভাল? 

 মধুমিতা: সবার আগে আমার সহ-অভিনেতা হিসাবে ভেবেছি পরম দাকে। কারণ আগেই যদি ভাবতে যাই যে প্রযোজক, তাহলে কাজটা ভাল হবে না। তাই যে কোনও সময়ে কো-স্টার পরম দা বেস্ট আমার জন্য।

 

প্রশ্ন: শ্যুটে সবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা কোনটা?

মধুমিতা: সবচেয়ে মজা হতো,শ্যুটিংয়ের ফাঁকে বাকি ব্যান্ড মেম্বারদের সঙ্গে বক্সিং, র‍্যাপ প্র্যাকটিস করতাম। এছাড়া ওঁদের অনেক ছোট ছোট ইন্সট্রুমেন্টস আছে, সেগুলো বাজিয়ে ওঁদের সঙ্গে সময় কাটাতাম।

 

প্রশ্ন: প্রশিক্ষণ যখন শুরু হয়েছে, তাহলে এবার কি দর্শকেরা নায়িকার পাশাপাশি গায়িকা মধুমিতাকে পাবে?

মধুমিতা: আমার গলাটা পুরো দাঁড়কাকের মতো (জোড়ে হেসে)। তবে আমি র‍্যাপ করাটা শিখছি। কয়েক বছরের মধ্যে র‍্যাপ স্টার মধুমিতাকে দেখতে পারেন সবাই।

Advertisement

 

প্রশ্ন: 'ট্যাংরা ব্লুজ'- র জয়ী মধুমিতার থেকে কতটা আলাদা? 

মধুমিতা: জয়ী একটু শান্ত, যেটা আমি স্বভাববশত একদম নই। 

 

প্রশ্ন: তাহলে এই দুজনের মিল কতটা? 

মধুমিতা: দুজনেই ডিপ্রেশনে গেলে নিজেই নিজেকে বের করে আনতে পারে। অনেকটা মাকড়শার মতো। পড়ে গেলেও নিজেই আবার উঠে দাঁড়াতে পারে, জ্বাল বোনে। 

 

প্রশ্ন: মধুমিতার জীবনে তাহলে অনুপ্রেরণা কে? 

মধুমিতা: আমার অনুপ্রেরণা আমি নিজেই। এছাড়া পৃথিবীর যারা পজিটিভ তাঁরা সবাই আমার অনুপ্রেরণা। আমি যখন নিজে খুব বেশি ডিপ্রেশনে থাকি, ওখান থেকে নিজেই বেরনোর চেষ্টা করি।  


প্রশ্ন: আপনি কোন ধরনের গান বেশি পছন্দ করেন?

মধুমিতা: আমি সব ধরনের মিউজিক পছন্দ করি। তবে হ্যাঁ নতুন জিনিস শুনতে যেটা একটু অন্য রকম, সেগুলো আমায় খুব আকর্ষণ করে। 

 

প্রশ্ন: ছবিতে ট্যাংরার বস্তির শিল্পীদের তুলে ধরা হয়েছে। এরকম তো আরও অনেক শিল্পী আছেন। কীভাবে তাঁদের জন্য কিছু করতে পারে ইন্ডাস্ট্রি? আপনার কী মনে হয়?

মধুমিতা: সত্যি কথা বলতে যার গল্প থেকে আমাদের ছবিটা অনুপ্রেরণা পেয়েছে, সেই সঞ্জয় মণ্ডল কিন্তু আজ থেকে ১০ বছর আগে একটি ন্যাশনাল রিয়্যালিটি শো-তে গিয়েছিলেন। তাই এরকম সকলকে পরিশ্রম করে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে যারা এই ধরনের ট্যালেন্ট খুঁজছেন, তাঁরাও হাতের কাছে পেয়ে যাবেন। দুজনের পক্ষেই বিষয়টা সহজ হবে।  

 

প্রশ্ন: তিনটি ছবিতে একেবারে ভিন্ন তিন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করলেন। 'ড্রিম রোল' আছে  কোনও?

মধুমিতা: সাইকোলজিক্যাল, ডার্ক, সিরিয়াল কিলার- এই ধরনের ছবি করতে আমার খুব ইচ্ছে করে। মানে যেগুলো একটু অন্য ধারার, একটু এক্সপেরিমেন্টাল। সাধারণত এই ধরনের চরিত্র আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ছেলেরা করেন। আমি সেগুলোই করতে চাই। 
 
প্রশ্ন: ছোট পর্দায় ফিরবেন? 

মধুমিতা: (একটু ভাবে) না, আপাতত না! আমি একটু ব্রেক নিয়েছি। 

 

Advertisement