scorecardresearch
 

Dev- Prosenjit- Rana: 'তথাকথিত সুপারস্টারদের বক্স অফিসে আর বিক্রি নেই...!" প্রসেনজিৎ- দেবকে ফের কটাক্ষ রানার

Dev- Prosenjit- Rana: বিভিন্ন বিষয় তিনি মুখ খোলেন প্রায়শই। টলিউডের হাল-হকিকত থেকে, বাংলা ছবির বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। কথা হচ্ছে প্রযোজক রানা সরকারকে নিয়ে।

Advertisement
দেব, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও রানা সরকার (ছবি: ফেসবুক) দেব, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও রানা সরকার (ছবি: ফেসবুক)

ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ঠোঁট কাটা নামে পরিচিত। বিভিন্ন বিষয় তিনি মুখ খোলেন প্রায়শই। টলিউডের হাল-হকিকত থেকে, বাংলা ছবির বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। কথা হচ্ছে প্রযোজক রানা সরকারকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার আবারও একটি ফেসবুক পোস্টে টলিউডের দুই সুপারস্টার- প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দেবকে একহাত নিলেন তিনি। 

এবছর পুজোয় মুক্তি পেয়েছে দেব- প্রসেনজিতের ছবি 'কাছের মানুষ'। একই দিনে মুক্তি পেয়েছে 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন' সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবি। তবে লক্ষ্ণীলাভ বা সাফল্যর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'। রানা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, "বাংলা সিনেমার গত এক বছরের হিট বা সুপারহিটের ট্রেন্ড থেকে বোঝা যাচ্ছে তথাকথিত সুপারস্টারদের বক্স অফিসে আর বিক্রি নেই। অপরাজিত, বেলাশুরু বা কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন এই তিনটে সিনেমা সুপারহিট তার কৃতিত্ব জিতু কমল, আবির চ্যাটার্জি অথবা শিবপ্রসাদ-নন্দিতার।" 

তিনি লেখেন, "আরো একটা জিনিস বোঝার দুই সুপারস্টারের টিভি রাইট বিক্রির দাম তিন কোটি বা আরো বেশি, এটার মানে হলো এই সুপারস্টারদের সিনেমা মানুষ বাড়িতে ফ্রিতে টেলিভিশনে বা ওটিটি-তে দেখে, পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে সিনেমা হলে গিয়ে দেখার দর্শক সংখ্যা ফ্যানবেস ছাড়া আর নেই  বললেই চলে,তাই বক্সঅফিসে এদের লাইফটাইম বিক্রি দুকোটি বা আড়াই কোটি সর্বোচ্চ হয়। আরেকজন যিনি নিজেই ইন্ডাস্ট্রি তার শেষ হিট ২০১৯ সালের গুমনামী যেটা সৃজিত মুখার্জির ছবি, তারপর সব ফ্লপ ।"

রানা সরকার দাবি করেন, 'টনিক', 'কিশমিশ' বা 'রাবণ'-র মতো ছবিগুলিতে যে বক্স অফিস কালেকশন দেখানো হয়, সেটা সত্যি না। তিনি লেখেন, "টনিক, কিশমিশ বা রাবণ ইত্যাদির বক্স অফিস বিক্রির যে অংকটা বলা হয় সেটা একদমই সত্যি না। এই তিনটি ছবির লাইফটাইম বক্সঅফিস কালেকশন ২.৫ কোটি ছাড়ায়নি, ভুল বক্সঅফিস তথ্য দিয়ে বাংলা সিনেমার ক্ষতি করা হচ্ছে। আমি এই তথ্য সজ্ঞানে দিচ্ছি, যদি কারো চ্যালেঞ্জ করার ইচ্ছা থাকে দয়া করে স্টেটমেন্ট নয় সিনেমার বিলিং ডিটেলস প্রকাশ করুন অথবা আমার বিরুদ্ধে আদালতে যান যেখানে সত্য উন্মোচিত হবে।" 

Advertisement

প্রযোজক আরও লিখেছেন, "আজকের হিসেবে সুপারস্টার শুধুমাত্র জিতু কমল আর আবির চ্যাটার্জী, অন্য কেউ নয়...ভুল তথ্য দিয়ে নিজের পছন্দের হিরোকে সমর্থন করতে গিয়ে বাংলা সিনেমার ক্ষতি করে ফেলবেন না। জয় হোক বাংলা সিনেমার।" যদিও রানার এই পোস্টে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বহু দেব- জিৎ বা প্রসেনজিৎ অনুরাগীরা। আবার অনেকে তাঁকে সমর্থন করেছেন এই তথ্য সামনে আনার জন্য। কিছু নেটিজেন আবার মন্তব্য করেছেন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রি বা বাংলা সিনেমার বিরুদ্ধে। একজন লিখেছেন, "বাংলা ইন্ডাস্ট্রি মায়ের ভোগে গেছে।" 

 

প্রসঙ্গত, এর আগেও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন রানা সরকার। টলিউডে 'ইন্ডাস্ট্রি' নামেই পরিচিতি প্রসেনজিৎ। বারবারই এই সংক্রান্ত বিষয়ে শিরোনামে এসেছেন অভিনেতা। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর তিনি আরও বেশি চর্চায় এসেছেন। একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপ দেখে অনেক নেটিজেনরাই তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। সেই নিয়েই সরাসরি কটাক্ষ করেছিলেন রানা সরকার।  
 

 

Advertisement