
ইমন চক্রবর্তীএর আগে ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো-এর ফাইনালের পর। তখন জানিয়েছিলেন সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তীকে মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছিল সে সমস্ত নেগেটিভিটিতে থেকে বেরিয়ে আসতে। এর মধ্যেই এক্সারসাইজে ছবি পোস্ট করে সোশাল মিডিয়ায় অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য শুনতে হল ইমন-কে। ছবির নীচে এক যুবক তাঁকে ধর্ষণের ইচ্ছের কথা জানাল। যাতে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে রিপ্লাই করেছেন ইমন নিজে। কলকাতা পুলিশের সোশাল পেজকে ট্যাগ করে রিপ্লাই দেন ইমন নিজে।
১১ জুন পেজে শরীর চর্চার কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন। তার নীচে এই কুরিচিকর মন্তব্য করে AH Shuvo নামে এক বাংলাদেশি যুবক। প্রোফাইল বলছে এই ব্যক্তি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। তবে প্রোফাইল ফেক হতে পারে বলে অনেকের সন্দেহ। পোস্টে যুবক মন্তব্য করে, 'এ ভাবে ২০ মিনিট সময় দেবে তাড়াতাড়ি করে ফেলবো।' কমেন্টের নীচে ইমন কলকাতা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ট্যাগ করে রিপ্লাই করেন ইমন। তাতে লেখেন, 'Kolkata Crime branch will take action. Don't worry.'

তবে যুবকের এমন নীচু মানসিকতা দেখে বহু মানুষ তার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। অনেকেই একে সমগ্র বাংলাদেশের অপমান হিসাবে দেখছেন। সুখের বিষয়, বাংলাদেশের বহু মানুষ যাঁরা ইমনের গানের ভক্ত তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। যা ইমন নিজেও যথেষ্ট আপ্লুত। সাংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, একজন খারাপ কমেন্ট করলেও তার বিরুদ্ধে বহু মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে সমাজে ভালো মানুষের সংখ্যাই বেশি।
তবে এ বিষয়ে পুশি প্রশাসনকে আরও বেশি সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। সাইবার ক্রাইমের সংখ্যআ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। পুলিশ এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যতে অনেকেই এ ধরনের মন্তব্য করার আঘে ১০ বার ভাববেন। সোশাল মিডিয়ায় যা খুশি কমেন্ট করে পার পেয়ে যাওয়া যায় এমন ধারণা রয়েছে জনমানসে। সেই ধারণার মূলেই আঘাত করা প্রয়োজন।