দ্বিতীয়বার মা হওয়ার প্রায় ১৫ দিনের মাথায় নিজের মেকওভার করিয়েছিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ইয়ালিনির জন্মের প্রায় দু'মাসের মাথায় শ্যুটিং ফ্লোরে ফেরেন নায়িকা। নতুন ছবি 'বাবলি'-র শ্যুটিং করতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিল টিম। সেই শিডিউলের শ্যুট সেরে শহরে ফিরেছেন রাজ- ঘরণী। বাড়িতে ফিরেই প্রিয় মানুষদের ছবি শেয়ার করলেন তিনি।
কথায় বলে 'মায়ের মন সন্তানের জন্য সব সময় কাঁদে'। তারকাদের ক্ষেত্রেও এই অনুভূতি কিন্তু একই। কাজের জন্য বাড়ির বাইরে গিয়ে ছোট্ট ছেলে- মেয়েদের খুবই মিস করেছেন শুভশ্রী। নিজের সোশ্যাল পেজে ইউভানের একটি ছবি শেয়ার করে, সেকথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। ছবিতে দেখা যাচ্ছিল ব্যালকনির গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে ইউভান। বাইরে কুয়াশাচ্ছন্ন। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ছবি দেখে মনে হচ্ছে, মা- বাবা বাড়িতে না থাকায় তাঁদের জন্য মন খারাপ 'রাজশ্রী' পুত্রেরও।
মঙ্গলবার ফিরেই সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটালেন শুভশ্রী। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একেবারে নো- মেকআপ লুকে, বাড়ির পোশাকে রয়েছেন তিনি। ঘাড়ের উপর চড়েছে ইউভান। মা- ছেলের এই আদুরে ছবি নজড় কাড়ছে সকলের। একরত্তি ইয়ালিনির একটি ঝলকও তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। যদিও এখনও তার মুখ দেখা যায়নি। এই পোস্টের কমেন্টবক্সে, তারকা থেকে শুরু করে নেটিজেনরা ভালোবাসায় ভরিয়েছেন।
গত ৩০ নভেম্বর দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন টলিউড নায়িকা। মাতৃত্বের স্বাদ চেটেপুটে উপভোগ করেছেন শুভশ্রী। বেশ কিছু মাস ধরে বড় কাজের থেকে বিরতিও নিয়েছেন। তবে প্রেগন্যান্সির সময়কালে খুব সক্রিয় থাকতেন তিনি। এই সময়ে মহিলাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে। শুভশ্রীর ক্ষেত্রেও কিছু আলাদা হয়নি। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সন্তান ও নিজেকে ফিট রাখতে জিম, মেটারনিটি যোগা থেকে হালকা কাজ- শ্যুট কোনওটাই বাদ দেননি তিনি। সন্তান জন্মের কিছুদিনের মধ্যে নিজের লুক পরিবর্তন করেন নায়িকা। বোঝাই যাচ্ছিল শীঘ্রই কাজে ফিরবেন তিনি। আর সেই জল্পনাই সত্যি হল।
প্রসঙ্গত, বছরের প্রথম দিনই নতুন ছবির ঘোষণা করেছেন রাজ- শুভশ্রী। এবার সাহিত্য নির্ভর ছবি বানাচ্ছেন রাজ। বুদ্ধদেব গুহর জনপ্রিয় উপন্যাস 'বাবলি'-র গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে নতুন এই ছবিটি। দ্বিতীয় সন্তান ইয়ালিনির জন্মের পর এটাই শুভশ্রীর প্রথম কাজ। এবার তিনি জুটি বাঁধছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে সৌরসেনী মৈত্রকে।