স্মরলিপি ও মীর (ছবি: ফেসবুক)টলিউড। নিজের স্বপ্নপূরণের তাগিদে দূর দূর থেকে পাড়ি দেন বহু মানুষ। লাইট, ক্যামেরা, গ্ল্যামার, সাফল্য ইত্যাদির স্বাদ নিতে দিনের পর দিন এখানে 'স্ট্রাগল' করেন বহু মানুষ। কেউ সফল হন, আবার কেউ আশাহত হয়ে হাল ছেড়ে ফিরে যান। টিনসেল টাউনেরর গ্ল্যামারাস জগতের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক অন্ধকার বাস্তবতা। যার সঙ্গে অনেক অভিনেতাই লড়াই করেন। বর্তমান সময় অনেক তারকাই কাস্টিং কাউচ বা 'মি টু' অভিযোগ নিয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলেন।
শিরোনামে স্মরলিপি চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর একটি বিরক্তিকর ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন মীরের বিরুদ্ধে। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর এক অনভিপ্রেত ঘটনা শেয়ার করেন তিনি। এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও।
ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল স্মরলিপির। বিনোদন দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন মডেলিং দিয়ে। এরপর শুরু সঞ্চালনা। জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো 'হাউ মাউ খাউ'-এ কাজের সুযোগ আসে তাঁর। সেই শো-র সঞ্চালক রূপে দেখা যেত মীরকে। আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে। পুরনো স্মৃতি হাতড়ে খারাপ অভিজ্ঞতার প্রকাশ্যে আনেন। অভিযোগের তীর বাচিক শিল্পী, সঞ্চালক, গায়ক তথা অভিনেতা মীর আফসার আলির দিকে।
স্মরলিপি বলেন, "মীরদার মনে আছে কিনা জানি না। আমি তখন অনেকটা ছোট। ওখানে প্রায় ১৫০ -২০০টা ছেলেমেয়ে ছিল। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছেলে। ওই হরিদাসের বুলবুলভাজা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মীরদা। হঠাৎ করে বলে উঠল, স্মরলিপি তোমার বুকগুলো তো ফলস। ওই দুটো দিয়ে দাও, আমি লাগাই….। এটা শুনেই সবাই আমার বুকের দিকে তাকালো। আমি এত অপমানিত বোধ করেছিলাম সেদিন। মনে হয়েছিল, কোথাও গিয়ে একটা ব্যারিকেড থাকা দরকার। দিনের শেষে আমি তো মেয়ে, আমার কিছু সিক্রেট পার্ট আছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যায় না। তারপর থেকে আমার আত্মসম্মানে খুব হানি হচ্ছিল। আমি সোজাসুজি প্রযোজককে বললাম (শো'টি) করব না।"
তিনি আরও বলেন,"আমি সেদিনই প্রতিবাদ করেছিলাম। যেটা শুনে ওরা হাসাহাসি করেছিল। হাসাহাসি করতেই পারে। কিন্তু আমার তখন ২০-২১ বছর বয়স ছিল। সালটা ছিল ২০০৫- ২০০৬। ওই সময় থেকে প্রতিবাদ করাটা শুরু হয়ে গিয়েছিল আমার মধ্যে।"
স্মরলিপ আরও বলেন, 'হাউ মাউ খাউ'-তে কাজ করার সময় একটি ছবিতে যিশু সেনগুপ্তর বিপরীতে তাঁর অভিনয়ের সুযোগ আসে। সেখানে তাঁকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়া হয়। এমনকী শর্ত দেওয়া হয়, ছবির একাধিক প্রযোজকের সঙ্গে রাত্রীবাস করতে হবে। এরপরই সেই কাজে না বলে আসেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন স্ত্রী স্মরলিপি। এই মুহূর্তে তিনি সিঙ্গল মাদার। সৌম্যর সঙ্গে তাঁর বিয়ে ভাঙার সময় চর্চায় এসেছিলেন তাঁরা। প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর। অভিনয় থেকে এখন অনেক দূরেই থাকেন। বর্তমানে নিজের প্রচেষ্টায় একটি ক্যাফে খুলেছেন। সেই সঙ্গে পডকাস্ট সঞ্চালনা করেন স্মরলিপি।