আরজি কর-কাণ্ডে আন্দোলনকারীদের একাংশের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তৃণমূলের একাংশও অভিযোগ করছে, আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে ডান-বাম রাজনীতি। রাস্তায় নেমেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। 'আজাদি' স্লোগান শোনা গিয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মুখেও। যার পর থেকে তিনি 'বাম মনস্ক' বলে তকমা দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার নিজের 'রাজনৈতিক অবস্থান' নিয়ে মুখ খুললেন স্বস্তিকা।
ফেসবুক পোস্টে স্বস্তিকা লিখেছেন,'এই যে মাস পিটিশন বা মাস কনভেনশন টাইপ এর মাস নোংরামো, মাস গালাগাল, মাস ভুয়ো তথ্য ছড়ানো, মাস মিম বানানো, মাস কার্টুন আঁকা প্রতিযোগিতা - এই সব করতে তো খরচা লাগে। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় কী আমরাই গালাগাল খাচ্ছি ? যারা প্রতিবাদ করছেন না, এসবের আবার কী দরকার ভেবে, তারা এই ব্যাপারটা একটু ভেবে জানাবেন তো। কমেন্ট সেকশন যেখানে গালাগাল দিচ্ছেন সেখানে জানিয়ে দেবেন,ওটা সর্বদা খোলা থাকবে। আগে থেকে থ্যাংক ইউ বলে দিলাম'। (বাক্যগঠন অসম্পাদিত)
সেই সঙ্গে 'কমরেড' বলে সম্বোধন করলে বামপন্থী বা 'রং দে তু মোহে গেরুয়া' গাইলেই কেউ বিজেপি হয় না বলে মনে করিয়ে দেন স্বস্তিকা। সায়নীতে অভিনন্দন জানানোর প্রসঙ্গ তুলে তিনি লিখেছেন,'কাউকে কমরেড বলে সম্মোধন করলে আমি নিশ্চিত লাল, এক দশক বা তার একটু কম বেশি আগে পরে, এক জোড়া চোটির ছবি দিয়েছিলাম বলে আমি সবুজ, ওহ সরি মাঝে দুটো চকোলেটও নিয়েছিলাম। ওহ সরি আমার কলিগ সায়নীকে কংগ্রাটসও বলেছিলাম। ওহ সরি এখন আবার সবুজ না বলে নতুন শব্দ হলো চটি-চাটা। রং দে তু মোহে গেরুয়া গান টা গাইলে আমি গেরুয়া। আজাদি স্লোগান তুললে আমি জেএনইউ - ওহ না না ওরা তো কোন দল না, ভুলে যাই। আর কিছু বাদ পড়ল? কংগ্রেস বোধহয় কারুর সাতে পাঁচে থাকেনা, ওরা কোনোদিন গালাগাল দেয়নি। মনে হয় ওরা এই সব আই-টি সেল জাতীয় ব্যাপারে খরচ কম করে'। (বাক্যগঠন অসম্পাদিত)
পরিশেষে স্বস্তিকার কটাক্ষ,'কাল সকাল থেকে আবার ফুটেজ খেতে রাস্তায় নামতে হবে, তাই আর সময় পাবো না। এমনিও ঘুম আসছেনা, ভাবলাম কাজ টা সেরে ফেলি। সেদিন সৃজিত মুখার্জি একটা দারুণ কথা শেয়ার করল -ওর নিজেকে রাজপাল যাদব এর মতন লাগছে,বলে এইটা বলল - Main kya mandir kaa ghanta hoon koi bhi bajake chala jaata hain ?'। (বাক্যগঠন অসম্পাদিত)