দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিজের অসামান্য অভিনয় দক্ষতা এবং অন্য ধারার স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্যে লাইমলাইটে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। একাধিক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের মাধ্যমে বারবার দর্শকদের মন ছুঁয়েছেন অভিনেত্রী । ছোট পর্দা, বড়পর্দা থেকে শুরু করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম- টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও দাপিয়ে কাজ করছেন স্বস্তিকা। এমনকি ইন্ডাস্ট্রিতে 'ঠোঁট কাটা' নামেও পরিচিত সে।
তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব কৌতূহল থাকে দর্শকদের। মনের কথা অকপটেই বলে ফেলেন এই নায়িকা। সেই জন্যে প্রায়শই থাকেন জল্পনার শীর্ষে। তবে কেরিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে চলেছে নানা টানাপড়েন। বহুবার নাম জড়িয়েছে একাধিক তারকাদের সঙ্গে।
১৯৯৮ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে, প্রমিত সেনের সঙ্গে স্বস্তিকার বিয়ে হয়। কিন্তু বৈবাহিক জীবন একদমই সুখকর হয়নি অভিনেত্রীর। গর্ভবতী অবস্থায়ও শিকার হতে হয়েছে নির্যাতনের। বিয়ের দু' বছরের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। প্রমিত- স্বস্তিকার একমাত্র মেয়ে অন্বেষা, নায়িকার সঙ্গেই থাকেন। মা- মেয়ের নানা মুহূর্তের সাখহে থাকেন নেটিজেনরা।
অভিনেতা দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে খুব কম দিনের জন্য সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। 'নন্দিনী' ছবির শ্যুটিং সেটে কাছে আসেন দুজনে। এরপরই স্বস্তিকার জীবনে আসেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলেই শোনার যায় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা। যদিও সম্পর্কের ব্যাপারে কখনও মুখ খোলেননি তাঁরা। শোনা যায় সৃজিত এই সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস ছিলেন। 'জাতিস্মর'-র পরেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় বলে খবর।
সৃজিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর স্বস্তিকা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দুজনের ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন দুজনেই। টলিউডের সুপারস্টার জিৎ-র সঙ্গে স্বস্তিকার সম্পর্ক অনেকেরই অজানা। 'পিতৃভূমি', 'প্রিয়তমা' ও একাধিক ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন এই জুটি। যদিও 'মস্তান' ছবির সময় থেকেই তাঁদের সম্পর্কের সূত্রপাত। শোনা যায় সম্পর্কে অনেকটা এগোনোর পর, স্বস্তিকা কেরিয়ার নিয়ে কোনও রকম ত্যাগ করতে চাননি। এরপর মোহনা রাতলানিকে বিয়ে করেন জিৎ।
টলিপাড়ার চর্চিত জুটি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও স্বস্তিকা একসঙ্গে 'হ্যাং আউট' থেকে শুরু করে 'পার্টি' করা সবি তাঁরা করতেন একসঙ্গে। এরপর কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, নিন্দুকরা শত কটূকথা বললেও, 'কেয়ার নট অ্যাটিটিউটই' রাখতে পছন্দ করেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এই আচরণের জন্যেই তিনি বহু মানুষের মনের খুব কাছের। টলিউডের পাশাপাশি জমিয়ে কাজ করছেন বি- টাউনেও। এজন্যে মুম্বইতে তাঁর যাতায়াত লেগেই থাকে। মায়ানগরীতেও তাঁর কাজ যথেষ্ট প্রশংসিত। অন্যদিকে চঞ্চল চৌধুরীর কাজ প্রশংসিত দুই বাংলাতেই। দুই অভিনেতা একই ছবিতে কাজ করলে, দর্শকদের জন্য তা নিঃসন্দেহে দারুণ খুশির খবর হবে, তা আর বলতে বাকি রাখে না।