দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'লহো গৌরাঙ্গের নাম রে'। এক সময় এই ছবির ভবিষ্যৎ ছিল প্রশ্নচিহ্নের মুখে। তবে শেষমেশ জানা যায়, খুব শীঘ্রই শুরু হবে এই ছবির কাজ। এবার বিনোদিনী রূপে দেখা যাবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে এবং গিরিশ ঘোষের চরিত্রে ব্রাত্য বসু। বিরাট চমক রয়েছে কাস্টিংয়ে। এখবর এখন পুরনো। টলিপাড়ার খবর, বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় নায়িকা এবার ডেবিউ করতে চলেছেন সৃজিতের ছবিতে।
'লহো গৌরাঙ্গের নাম রে'-তে চৈতন্য মহাপ্রভুর ভূমিকায় দেখা যাবে টেলি অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্তকে। এছাড়াও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ইশা সাহা, পার্নো মিত্রর মতো শিল্পীরা। ছবিতে গৌরাঙ্গের স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়া চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল দর্শনা বণিকের। তবে হঠাৎ জানা যাচ্ছে, এই ছবিতে আর দেখা যাবে না তাঁকে। সৃজিতের ছবিতে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী। এর পিছনে রয়েছে বড় কারণ। স্টুডিওপাড়ার খবর, বিক্রম ভাটের নতুন হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে পারেন দর্শনা। এজন্যেই সম্ভবত 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে' ছবিতে না করলেন নায়িকা।
যদিও বিক্রম ভাটের ছবিতে কাজ করার কথায় এখনই শিলমোহর দেননি দর্শনা। তবে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "আরও একটা নতুন কাজ শুরু হবে আমার। যে কারণে সময় কিছুতেই মিলছিল না। তারিখের সমস্যা হচ্ছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটা আমার একার সিদ্ধান্ত একেবারেই নয়। পরিচালক, প্রযোজনা সংস্থা এবং গোটা টিমের সঙ্গে কথা বলেই যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।"
এদিকে শোনা যাচ্ছে, দর্শনার জায়গায় লক্ষ্মীপ্রিয়ার চরিত্রে দেখা যাবে টেলি অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতিকে। যদি এই বিষয়ে প্রযোজনা সংস্থা, পরিচালক বা অভিনেত্রীর তরফে কিছু জানানো হয়নি। আরাত্রিকা বাংলা টেলিভিশনের চেনা মুখ। এই মুহূর্তে দর্শক তাঁকে দেখছেন 'মিঠিঝোরা' ধারাবাহিকে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "এখনই কিচ্ছুটি বলতে পারব না। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।"
এসভিএফ ও রানা সরকারের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হবে 'লহো গৌরাঙ্গের নাম রে' ছবিটি। সব ঠিক থাকলে, এবছর রথের শুরু হবে শ্যুটিং এবং বছরের শেষের দিকে মুক্তি পাবে ছবিটি। তিনটি সময়কাল জুড়ে তিনটি গল্প এক সূত্রে গেঁথেছেন সৃজিত। সেখানে কখনও চৈতন্য,কখনও নটী বিনোদিনী, আবার কখনও গিরিশ ঘোষের মতো চরিত্ররা আসবেন। বর্তমান সময়, নয়ের দশক এবং শ্রীচৈতন্যর সময়কাল থাকবে এছবিতে। সমসময়ের গল্পে থাকছেন ইশা ও ইন্দ্রনীল। এখানে ইশা একজন পরিচালক এবং ইন্দ্রনীল তারকা। ইন্দ্রনীলের স্ত্রীয়ের চরিত্রে দেখা যাবে পার্নোকে। তবে ইশার সঙ্গেও তাঁর প্রেমের রসায়ন ফুটে উঠবে পর্দায়।
প্রসঙ্গত, যিশু সেনগুপ্ত নাকি, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, কে হবেন বড় পর্দার চৈতন্য মহাপ্রভু এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছিল জল্পনা। পরে শোনা যায়, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে এই ছবির নাম ভূমিকায়। শুরুতে মহাপ্রভুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়া চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল প্রিয়াঙ্কা সরকারের। এরপর বিনোদিনী রূপে তাঁর লুক প্রকাশ্যে আসে। পরে খবর আসে, বিনোদিনী বদলের। এখন শোনা যাচ্ছে বড় পর্দায় লক্ষ্মীপ্রিয়া হবেন আরাত্রিকা।